দেশের পর্যটন শিল্পকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে টুরিজম বোর্ড। পর্যটনশিল্পের অবকাঠামো সরকার করে দেবে, আর বাকি কাজগুলোতে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে লিজ প্রথার বিরোধিতা করেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘প্রিপারেশন অব ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান ফর বাংলাদেশ: প্রগ্রেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব জানান তিনি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি লিজ দেওয়ার পক্ষে নই। লিজের মধ্যে ভয়ঙ্কর ভয় আছে। বয়াবহ করাপশন আছে। আমাদের দায়িত্ব বিদ্যুৎ, সড়ক, নিরাপত্তা দেখা। এগুলো হলো মূল জায়গা।
পর্যটনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ন্যাচারাল জায়গাগুলো দেখতে হবে। বেসরকারি খাতকে স্পেস দিতে হবে, আমরা যেন তাদের বাধা না হয়ে দাঁড়াই। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
পর্যটন খাতের বিকাশ জরুরি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ খাতকে পুরোপুরি বেসরকারি খাতে দেওয়া উচিত। পর্যটন বিকাশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, বছর খানেক আগে প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে বলেছিলেন রাতারগুল, বিছনাকান্দি, টাঙ্গুয়ার হাওড় ও জাফলংয়ের মতো পর্যটনকেন্দ্রের পরিকল্পনা তৈরি করতে। আমাদের নাগরিকরা এখানে যায়। এটার উন্নয়ন খুবই জরুরি। অনেকে এসব খাতে ব্যয় করে। এটা বাংলা টাকা হোক আর ডলার হোক। প্রাথমিক কাজ আমরা করবো বাকি কাজ করবে বেসরকারি খাত।
পর্যটনের জন্য বিভিন্ন সুবিধার অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, পর্যটন নিয়ে ভয়ংকর কিছু চিত্র দেখলাম। নারী যায়, পুরুষ যায়, তারা বসার জায়গা পায় না। টয়লেট সুবিধা পায় না। আমরা পর্যটনের বেসিক অবকাঠামো করে দেবো। বাকি কাজগুলো চা শিঙাড়ার দোকান বেসরকারি খাতকে দিয়ে দিতে হবে। আমরা এগুলো চালাতে পারবো না।
এ সময় বিমানের টিকেটের বাড়তি দাম নিয়ে কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। বিমানের টিকিট চাইলে বলা হয় নাই, বিমানে ওঠলে সিট খালি দেখা যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিমান বাংলাদেশে লন্ডন থেকে সিলেটে আসলে ১২শ পাউন্ড লাগলেও বিদেশি এয়ারলাইন্সে আরো কম ভাড়া লাগে বলে অনেকে মন্তব্য করেন বলেও জানান তিনি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশ নেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ প্রমুখ।
