শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু

রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে স্বরচিত জাদুকরী কবিতাটি বিরামহীনভাবে আবৃত্তি করেন। এটি মুক্তিকামী বাঙালিকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। পরাধীন বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর সে মুক্তির বাণী ও সংগ্রামের নির্দেশনা বুকে নিয়ে অমিত বিক্রমে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। আর সেই পথ বেয়ে নয় মাসে অর্জিত হয় বহুকাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।

সোমবার (৭ মার্চ) জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।

টোকিও দূতালয় প্রধান শেখ ফরিদের এক সংবাদে এ কথা জানা যায়।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শুরুতে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানি বলেন, ৭ মার্চ আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি অনন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের এই উদাত্ত ভাষণ সমগ্র দেশবাসীকে স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্যে একিভূত করেছিল। কালজয়ী এই ভাষণ বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও ইতিহাসের সাথে সারাজীবন মিশে থাকবে।

অর্ধশত বছর পার হলেও, এখনো এই ভাষণের প্রতিটা শব্দ বাঙালির হৃদয় ছুঁয়ে যায়, মনকে শিহরিত ও আন্দোলিত করে। তিনি বঙ্গবন্ধুর অমূল্য সেই ভাষণ আজ ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৭ সালে “মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার” এর অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রামের ইতিহাস জাপানী বন্ধু এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিগণকে আহ্বান জানান ।

আরও পড়ুনঃ  গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে

উম্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা” এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে সাথে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়াংশে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন