শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্যপণের দামে হাঁসফাঁস

খাদ্যপণের দামে হাঁসফাঁস

করোনার ওমিক্রন ধাক্কার মধ্যেই প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। এতে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারে ভোগান্তির অন্ত নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ কোনোভাবেই দাম নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে হুশিয়ারী দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘অনেক অসৎ ব্যবসায়ী সুযোগ পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই এখন থেকে ট্যারিফ কমিশন নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

গতকাল শুক্রবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুরে ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনে নেওয়া প্রকল্পের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেল, ডাল ও চিনির দাম অনেক বেড়েছে। ৬শ’ টাকা টনের ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১৩শ’ ডলারে উঠেছে। একইভাবে ডাল চিনির দাম বেড়েছে। আমাদের ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রতি বছর ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ১০ শতাংশ তেল দেশে উৎপাদিত সরিষা থেকে আসে।’

এসময় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছি। এসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানির পর ট্যারিফ কমিশন বসে দাম নির্ধারণ করে দেয়। তারপরও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় দাম বাড়িয়ে দেয়। এজন্য জেলায় জেলায় দাম মনিটরিংয়ের জন্য ডিসিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।’

আরও পড়ুনঃ  অর্থনৈতিক মূল্য অপরিসীম

দাম বাড়লেও কৃষকদের মুনাফা না হওয়ার বিষয়ে টিপু মুনশি জানান, ‘ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা বলছেন, তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। প্রতিকেজি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ পড়ে ১৪ টাকা, আর বিক্রি করছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা। সে কারণে বিদেশ থেকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি করতে নিষেধ করেছেন কৃষকরা।

রংপুরে একটি বিশ্বমানের ক্যানসার হাসপাতাল করার উদ্যোগে নিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ২০ কোটি টাকা দেবো। কিন্তু শুধু টাকা দিলেই হবে না, এটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সব স্তরের মানুষ যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে ক্যানসারের চিকিৎসা পায়, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন