বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৬ মার্চ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হবে- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

২৬ মার্চ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হবে- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ২৬ মার্চ থেকে ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেবে সরকার। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া পরিচয়পত্রে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক নিরাপত্তা সম্বলিত ব্যবস্থা থাকবে।

১ লাখ ৮৬ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এই কার্ড দেয়া হবে। কার্ডের নিরাপত্তা দিতে মোট ৮ ধরনের বারকোড ব্যবহার করা হবে একেকটি কার্ডে। এই কার্ড যাতে কেউ নকল করতে না পারে সেজন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। এই কার্ড দেখিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিকিৎসা সেবা, পরিবহনে যাতায়াত সহ সরকারি অফিসগুলোতে বিশেষ সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ এসব কথা জানান।

তিনি আরো বলেন, দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে ডিজিটাল পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশন দিচ্ছে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তৈরি করা উচিত ছিলো সমন্বয়ভাবে না করলে এ নিয়ে বিভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ থাকে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন এনআইডি কার্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের পদবী দিচ্ছেন, যা তাদের কাজ নয়। এটা নির্বাচন কমিশনের আওতার বহির্ভূত। নির্বাচন কমিশনের কাজ জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করা। এ বিষয়টি আমরা জানি না। কোন তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই তালিকা করছেন সেটিও আমাদের জানা নেই। আমাদের সঙ্গে সমন্বয় না করে এ কাজটি করার ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।

আরও পড়ুনঃ  রোজায় ব্যাংক লেনদেন সাড়ে ৯টা থেকে আড়াইটা

মন্ত্রী আরো জানান, এরই মধ্যে এই কার্ড বিতরনের দরপত্র প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে, আগামী ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল কার্ড দেওয়ার। তবে এপ্রিল মাসের মধ্যে সবাই কার্ড পেয়ে যাবেন। কিন্তু এই উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনও নিয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়ে এখন ২০ হাজার টাকা করেছে সরকার। তাদের যেকোনো বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা যাতে সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারেন সরকার সে সকল ব্যবস্থা করছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন