শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যাত্রীকে বললেন মন্ত্রী, ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিয়েন না

ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিয়েন না

ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার এক যাত্রীকে উদ্দেশ্য করে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন, ট্রেনে আবার আগুন লাগিয়ে দিয়েন না। গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রীর মজার চলে করা এমন মন্তব্যের জবাবে নারী যাত্রী বলেন, প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হতেই পারে, পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। এসময় পুরো ট্রেন ঘুরে যাত্রীদেরকে ফুল ও চকলেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং যাত্রীদের সাথে কথা বলেন মন্ত্রী।

পুরনো কোচ পাল্টে নতুন মলাটের সম্পূর্ণ সাদা কোচে চলাচল শুরু করেছে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন। ঢাকা-নোয়াখালী রুটে ১৬টি কোচ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচল শুরু হয়েছে। এ ট্রেনের ১৬টি বগির সবগুলোই রেলওয়ের সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস আধুনিক ও উচ্চ গতির ট্রেন সুর্বণ এক্সপ্রেসের-আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, রেলওয়েতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি ট্রেনেই নতুন কোচে চলাচল শুরু হয়েছে। পুরনো কোচ পরিবর্তন করে যাত্রীদের মান উন্নয়নে রেল প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে প্রতিটি ট্রেনেই আরো পরিবর্তন আসবে। তবে রেলমন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনায় রেল এগিয়ে যেতে আরো নতুন নতুন পরিকল্পনায় কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে পিএইচটি টাইপে পুরনো বগিতে চলছিল উপকূল এক্সপ্রেস। এই রুটের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল-শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক বগির। শেষ পর্যন্ত রেলওয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ট্রেনের বগি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়। এতে সোমবার থেকে নোয়াখালীগামী উপকূল ট্রেনের রেক পরিবর্তন হয়েছে। এই রুটে আগে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো বগি ছিল না। দীর্ঘদিন পর ময়মনসিংহ ও নোয়াখালীবাসীর এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন নোয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে যায় সকাল ৬টায়, ঢাকায় পৌঁছে ১১টা ৪৫ মিনিটে। ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে ছাড়ে বিকেল তিনটা ২০ মিনিটে ও পৌঁছে রাত ৯টা ২০ মিনিটে।

আরও পড়ুনঃ  দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন