ঢাকা | বুধবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলা ভাষার রাজধানী বাংলাদেশ : মোস্তাফা জব্বার

ক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার বলেছেন, বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলাভাষাভাষীর জন্য বাংলাদেশই হচ্ছে বাংলা ভাষার রাজধানী। বাংলাদেশই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলার এনকোডিং ও কীবোর্ড এর মান প্রমিত করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার বলেছেন, বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলাভাষাভাষীর জন্য বাংলাদেশই হচ্ছে বাংলা ভাষার রাজধানী। বাংলাদেশই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলার এনকোডিং ও কীবোর্ড এর মান প্রমিত করেছে।

শেখ হাসিনাই বাংলার ১৬টি টুলস উন্নয়নে ১৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন যার কাজ চলমান। অন্যদিকে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম বাংলার জটিলতাকে ভয়ংকর করে তুলেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ইউনিকোডে বাংলা এনকোডিং করার সময় আমরা তার সদস্য ছিলাম না। তখন ভারতীয় বাংলাভাষাভাষীরা বাংলাকে দেবনাগরীর মতো করে এনকোডিং করে আমাদের ভাষার স্বাতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। আমরা দীর্ঘদিন যুদ্ধ করেও এর সমাধান করতে পারছিনা। তবে আমরাই বাংলাকে নিয়ে বিশ্বজয় করছি।

বুধবার রাতে ঢাকায় প্রযুক্তি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা কম্পিউটার জগৎ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলা লিপি ব্যবহারের সংকট ও সমাধান নিয়ে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাযুক্তিক সমস্যাটার পেছনে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের দায় রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভাষাকে একটি স্বতন্ত্রভাষা হিসেবে গণ্য না করে আমাদের ‘দেবনাগরীর’ অনুসারী করে প্রচণ্ড রকম ক্ষতি করা হয়েছে। এজন্যই এখনো আমাদেরকে নোক্তা নিয়ে যুদ্ধ করে বেড়াতে হচ্ছে। অথচ বংলা বর্ণে কোনে নোক্তা নেই। ইউনিকোড যদি বাংলাকে বাংলার মতো দেখে এ সমস্যাগুলো সমাধান করে ফেলতো তাহলে যে সমস্যাগুলো এখন মোকাবেলা করতে হচ্ছে তা করতাম না।

কম্পিউটার জগৎ-এর নির্বাহী সম্পাদক, মোহাম্মদ আব্দুল হক অনুর সঞ্চালনায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠিত এ নীতি সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ভাষাপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, পরামর্শক মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ। আলোচনায় ভারত থেকে অংশ নেন এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের, কলা অনুষদ ডিন এবং ভাষা বিজ্ঞান চেয়ার, অধ্যাপক উদয় নারায়ন সিং।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন