গত বছর ভারতকে টপকে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সূচকে ৩৮তম স্থানে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ। এবার ইসরায়েলকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। আরও ছয় ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা সূচকে ৬৭.৫৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ৩২। এবং ইসরায়েল ৩৩তম।
এদিকে গত বছর ৩৯ নম্বরে থাকা ভারত পিছিয়েছে আরো পাঁচ ধাপ। দেশটি এখন আছে ৪৪তম স্থানে।
তালিকায় স্থান পাওয়া দেশগুলোর মৌলিক সাইবার হামলা প্রতিরোধে প্রস্তুতি ও সাইবার ঘটনা, অপরাধ এবং বড় ধরনের সংকট ব্যবস্থাপনায় তৎপরতা মূল্যায়ন করে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সূচক (এনসিএসআই) তৈরি করে ই-গভর্ন্যান্স একাডেমি। অলাভজনক সংস্থাটি এস্তোনিয়ার সরকার, ওপেন সোসাইটি ইনস্টিটিউট ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির যৌথ প্রয়াস।
বাংলাদেশের এই অর্জন সম্পর্কে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির জানান, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সূচকে আমাদের এই অর্জন অবশ্যই আনন্দের। বিভিন্ন রকম ডাটার ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়ে থাকে। সেখানে হয়তো বাংলাদেশে সাইবার আক্রমণের ঘটনা কম ঘটছে। তাই বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। আমাদের সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কাজ করার অনেক জায়গা রয়েছে। সেসব বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে। না হলে হয়তো ভবিষ্যতে হ্যাকারের আক্রমণের লক্ষ্য হব। অন্যদিকে বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা প্রথমদিককার সেরা তিনটা দেশের মধ্যে ইসরায়েল একটি। হতে পারে দেশটি এবার বেশ আক্রমণের শিকার হয়েছে। ফলে আক্রমণের সূচক ধরে হয়তো তারা পিছিয়ে। ভারতের ক্ষেত্রেও অনুরূপ বলা যায়। তবে এটা ঠিক সাইবার নিরাপত্তায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা যেমন ভারত থেকে পিছিয়ে আছি তেমনই আমরাও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছি।
৯৬.১০ পয়েন্ট নিয়ে এনসিএসআই সূচকে গত বছরের মতো এবারও প্রথম স্থান ধরে রেখেছে গ্রিস। বাকি শীর্ষ পাঁচ দেশগুলো হলো যথাক্রমে লিথুয়ানিয়া, বেলজিয়াম, চেকরিপাবলিক এবং এস্তোনিয়া।
সূচকে ১৪তম অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। তাদের পয়েন্ট ৮৩.১২। সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ৭৪তম, শ্রীলঙ্কা ৭৫তম, নেপাল ১০১তম, ভুটান ১১৯তম, আফগানিস্তান ১৩৩তম ও মিয়ানমার ১৪০তম। তালিকায় নেই মালদ্বীপ।
এছাড়া সূচকের শেষ পাঁচটি দেশ হলো বুরুন্ডি (১৫৬তম), কঙ্গো (১৫৭তম), সলোমন দ্বীপপুঞ্জ (১৫৮তম), টুভালু (১৫৯তম) ও দক্ষিণ সুদান (১৬০তম)।
আনন্দবাজার/টি এস পি