ঢাকা | বুধবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভার্চুয়াল জগৎকে বাস্তবে রূপ দেবে ‘মেটাভার্স’

ভার্চুয়াল জগৎকে বাস্তবে রূপ দেবে ‘মেটাভার্স’

এমন এক বিশ্বের কথা ভেবে দেখুন তো, যেখানে একটি কোম্পানি তাদের নতুন মডেলের একটি গাড়ি তৈরির পর সেটা অনলাইনের বাজারে ছেড়ে দিলো। তারপর আপনি একজন ক্রেতা হিসেবে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে গাড়িটি চালিয়ে দেখতে পারলেন।

বিষয়টা হয়তো বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত কোনো মুভির মতো মনে হচ্ছে। তবে সত্যি কথা বলতে এখন আর সেটা কল্পনার পর্যায়ে থাকছে না। ইতোমধ্যে এরকম এক প্রযুক্তি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। যার ফলে অনলাইনের ভার্চুয়াল জগৎ মনে হবে সত্যিকারের বাস্তব পৃথিবীর মতো।

মেটাভার্স কী?

মেটাভার্সই হবে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ, এমনটাই বলা হচ্ছে। মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগৎ বাস্তব জগতের মতো মনে হবে। যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি কোন কিছু শুধু দেখতেই পাবেন না, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতেও পারবেন।

প্রযুক্তিবিদরা জানান, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাথে মেটাভার্সের তুলনা আজকের দিনের স্মার্ট-ফোনের সঙ্গে আশির দশকের মোবাইল ফোনের তুলনা করার মতো।

বর্তমানে ভিআর বেশিভাগ ক্ষেত্রে অনলাইন গেমিং-এর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে মেটাভার্সের ব্যবহার হবে সকল বিষয়ে- অফিসের কাজ থেকে শুরু করে খেলা, কনসার্ট, সিনেমা, এমনকি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার বেলাতেও।

অনেকে কল্পনা করছেন যে, এই প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নিজের একটি থ্রিডি অবতার বা চরিত্র থাকবে ও এটিই অনলাইনে তার প্রতিনিধিত্ব করবে। অর্থাৎ এটি ঘুরে ফিরে বেড়াতে পারবে ও অন্যান্য চরিত্রের সাথে নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে।

বলা যেতে পারে, মেটাভার্স প্রযুক্তিতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ‘শেয়ার্ড ভার্চুয়াল পরিবেশে’ প্রবেশ করা যাবে। অর্থাৎ এই প্রযুক্তি হবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে ব্যবহার করে তৈরি ডিজিটাল স্থান যেখানে ডিজিটাল বিশ্বকে বাস্তব দুনিয়ার সাথে মিলিয়ে দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন