আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশে জুড়ে বইছে উৎসবের জোয়ার। এই উৎসবের আমেজ ছড়াচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনেও। এরই ধারবাহিকতায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আসার কথা ছিলো বাংলাদেশে।
মঙ্গলবার তাদের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসে পরিদর্শন করেছে। ইউনাইটেডের প্রতিনিধিদলটি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে ম্যানইউর ঢাকা আসা অনেকটা ধোঁয়াশা।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলে জানান, আগামী বছরের জুলাইয়ে তারা ঢাকায় আসবে এবং ২৩ বা ৩০ জুলাই ম্যাচটি হতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলা অনেক পছন্দের এবং অনেক সমর্থক তাদের রয়েছে। ইংলিশ ক্লাবটি যদি বাংলাদেশ সফর করে তাহলে বাংলাদেশের ফুটবল জাগরণের ক্ষেত্রে অনেক লাভবান হবে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা একাদশের বিপক্ষে খেলেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেরা খেলোয়াড়দের বাছাই করেই মূলত প্রিমিয়ার লিগ সেরা একাদশ তৈরি হয়।
বাফুফের এক কর্মকর্তা বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পাঁচ ধরনের ঘাস নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ম্যানচেস্টারের প্রতিনিধিদল। মাঠের ঘাস বদলাতে হবে। কিছু অবকাঠামোর ও পরিবর্তন দরকার বলে জানান তারা। এছাড়াও ভিআইপি বক্স নিয়েই ও প্রশ্ন তুলেছেন। ম্যানইউর দাবি ভিআইপি বক্স মাঠের এক পাশে আছে। তা সরিয়ে মাঝের দিকে আনতে হবে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। তবে সব থেকে বড় ব্যাপার এ সফরের জন্য ইংলিশ দলটি ৩০ লাখ ইউরো দাবি করেছে।
এ ব্যাপার বাফুফে কর্মকর্তা জানান, হয়তো না ও হতে পারে ম্যাচটি। এত বড় এমাউন্ট দিয়ে বড় কোন জাতীয় দলকেই আনা যায়।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আগামী ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়া সফরে ক্লাবটি ঢাকায় একটি ম্যাচ খেলার জন্য ঢাকা সফর করছে। এখন শুধু দেখার পালা ম্যানইউর চাহিদার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগান মিলবে কি না।
আনন্দবাজার/এম.কে