সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুমিনুল হক। তবে ট্রেন্ট বোল্টের একটি বলে পরাস্ত হয়ে ব্যক্তিগত ৮৮ রানে সাজঘরে ফিরলেন টাইগার অধিনায়ক। কিউই বোলার এবং ফিল্ডারদের জোড়ালো আবেদনে বাধ্য হয়ে আঙ্গুল তুললেন আম্পায়ার।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে দুর্দান্ত অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে শান্ত ও জয়ের ফিফটির পর আজ সোমবার তৃতীয় দিনে ফিফটির দেখা পেয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও লিটন দাস। এই দুই ব্যাটারই ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে ব্যক্তিগত ৮৮ রানে থেমে যায় মুমিনুলের ইনিংস। এদিকে ফর্মে থাকা লিটনও পাননি অঙ্কের দেখা। দুজনই সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের ২ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে মাঠে নামে টাইগাররা। আগের দিনে ৭০ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদুল হাসান জয় বিদায় নেন ৭৮ রানে।
দলীয় ২০৩ রানের মাথায় আউট হন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। ৫৩ বল খেলে এক চারে ১২ রান করে বোল্টের আক্রমণে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর জুটি বাঁধেন মুমিনুল ও লিটন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফিটির দেখা পান মুমিনুল। অন্যদিকে ১১তম ফিফটির দেখা পান লিটন।
ফিফটির দেখা পেতে ১৪৭ বল মোকাবিলা করতে হয়েছে অধিনায়ককে। যার মধ্যে বাউন্ডারি ছিল আটটি।
অন্যদিকে ৯৩ বল খেলে ফিফিটির দেখা পায় লিটন। যার মধ্যে চারের মার ছিল ছয়টি।
পঞ্চম উইকেটেই নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস ছাড়িয়ে লিড পায় বাংলাদেশ। সেই সাথে মুমিনুল ও লিটন সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকে। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে দিয়ে দুজনই ইনিংস শেষ করে আশির ঘরে। পঞ্চম উইকেটে দুজন জুটিবদ্ধ হয়ে ৩১৭ বলে সংগ্রহ করেন ১৫৮ রান।
দলীয় ৩৬১ রানে আউট হয়ে ফেরেন মুমিনুল। তার সংগ্রহ ২৪৪ বলে ৮৮ রান। ছিল ১২টি বাউন্ডারি।
এরপর লিটনের সাথে জুটি বাঁধেন তরুণ ইয়াসির আলী। মুমিনুল ফেরার পর মাত্র ১১ রান যোগ করে বোল্টের বলে আউট হন লিটনও। ১৭৭ বলে ৮৬ রান সংগ্রহ করেন তিনি। যেখানে ছিল ১০টি চারের মার।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৪০১। ৭৩ রানের লিড পেল বাংলাদেশ দল।
আনন্দবাজার/ টি এস পি