নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম দিনটা খারাপ যায়নি বাংলাদেশ দলের। প্রথম দিনশেষে কিউইদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৮ রান। যার মধ্যে পেসারদের প্রাপ্তি ৩ উইকেট। অনুকূল কন্ডিশনেও দারুণ বোলিং করেছেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। ৫৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। কিন্তু তাসকিন-এবাদতের বোলিং ফিগার সুবিধার নয়। এরপরও তিন শিষ্যের পারফর্মেন্সে খুশি পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে গিবসন বলেন, বাংলাদেশে আমরা খুব একটা ঘাস দেখতে পাই না (উইকেটে)। ঘাস তাই একটা ব্যাপার। টসের সময় আমাদের মনে হয়েছিল, নতুন বলে কিছু মুভমেন্ট মিলবে, যা মিলেছে। তবে আজকে বেশ গরম ছিল। উইকেটের আর্দ্রতা দ্রুতই শেষ হয়ে যায় এবং এরপর উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো হয়ে ওঠে। অনেকটাই নিষ্প্রাণ হয়ে যায় উইকেট। ছেলেরা যেভাবে লড়েছে, তাতে আমি গর্বিত। ফাস্ট বোলাররা হাল ছাড়েনি।
তিন পেসার ছাড়াও একমাত্র স্পিনার মেহেদি মিরাজও প্রশংসা পেয়েছেন গিবসনের। তিনি বলেন, মিরাজ এক পাশ দারুণভাবে আটকে রেখে অন্য প্রান্ত থেকে ফাস্ট বোলারদের বল করানোর সুযোগ করে দিয়েছে। যেটা বললাম, আমরা লড়াই চালিয়ে গেছি, এতে আমি গর্বিত। কঠিন কন্ডিশনে সব ফাস্ট বোলারই ভালো বল করেছে। তাদের জন্য অচেনা কন্ডিশন। ইবাদতও ভালো বল করেছে। নতুন বলে সকালে আমরা ছিলাম দুর্দান্ত।
পেস বোলিং কোচ আরও বলেন, সামনে কিছু বল পিচ করিয়েছি, সুইং করিয়েছি, ব্যাটকে পরাস্ত করেছি অনেকবার এবং আরও কয়েকটি উইকেট হয়তো পেতে পারতাম। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, সব ফাস্ট বোলারই অনেক চেষ্টা করেছে। গরমও বেশ ছিল। আমি তাই গর্বিত ছেলেরা যেভাবে দিনজুড়ে লড়াই চালিয়ে গেছে। আরও উইকেট আমরা পেতে পারতাম। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, দেশের মাঠে বিশ্বের সেরা দলের সঙ্গে খেলছি আমরা। বিশেষ করে ডেভন কনওয়ে সত্যিই ভালো খেলেছে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি
