শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০৬ রানেই অলআউট বাংলাদেশ

ম্যাচ শুরুর দিন দুয়েক আগেও পিচ ছিল গাঢ় সবুজ। ম্যাচের দিন রং ছিল কিছুটা ফিকে। পিচের চেহারায় উদ্দীপ্ত হয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেলেন, কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি। প্রথম সেশনেই ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা বাংলাদেশ দল শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ১০৬ রানে।

ভারতীয় পেসারদের দাপটে প্রথমবার পিঙ্ক বল টেস্ট খেলতে নেমে অবস্থা বাংলাদেশের নাজেহাল। প্রথমে ব্যক্তিগত ৪ রান করে ফেরেন ইমরুল কায়েস। তারপর মুমিনুল হক খাতার খোলার আগেই বিদায় যানান।

মুমিনুলের সাথেসাথে আরও দুই ব্যাটসম্যান মুশফিক ও মিঠুনও ফেরেন শূন্য রানেই। উমেশের দূরন্ত গতি এবং ইশান্তের সুইংয়ে বাংলাদেশের টপঅর্ডারে ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ব্যাট হাতে সাদমান ইসলাম ২৯ রান করলেও দু’অঙ্কের রানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে প্রথমসারির ছয় ব্যাটসম্যান।

এর আগেও টেস্টে বাংলাদেশ দশবার একশ রানের আগে অলআউট হয়েছিল । আজও সেই স্মৃতি ফিরেছিল। শেষ পর্যন্ত তেমনটা ঘটেনি।

অন্যদিকে বাংলাদেশ লিটনের কনকাশন পরিবর্তন হিসাবে মেহেদী হাসান মিরাজকে ব্যাট করতে পাঠায়। কিন্তু অনাকাঙ্খিতভাবে পাওয়া সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি মিরাজ। মাত্র ৮ রান করে ফিরেছেন। এরমধ্যেই মাঝখানে ব্যাট হাতে কচ্ছপ গতিতে এগোচ্ছিলেন নাঈম হাসান। কিন্তু ইশান্তের বল তার স্টাম্প উড়িয়ে দিলে শেষ হয় বাংলাদেশের শেষ প্রতিরোধ।

আবু জায়েদ রাহি চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্য রানে আউট হতেই সমাপ্তি ঘটে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের। ৩০.৩ ওভারে দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ১০৬ রানে।

ইশান্ত শর্মা ১২ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট। তিন উইকেট নিতে উমেশ যাদবকে খরচ করতে হয় ২৯ রান। দুই উইকেট নেন সামি। ৩০ ওভারের মধ্যে ভারতের মাত্র একজন স্পিনার হাত ঘুরিয়েছেন। রবীন্দ্র জাজেদা বল হাতে পেলেও সুযোগ পাননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

আরও পড়ুনঃ  লঙ্কা বধে সেমিতে বাংলাদেশ

আনন্দবাজার/এআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন