ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরম নাটকীয়তার পর শেষ বলে জয় পাকিস্তানের

চরম নাটকীয়তার পর শেষ বলে জয় পাকিস্তানের

শেষ ওভারে পাকিস্তানের জিততে প্রয়োজন ছিল আট রান। দলের সংকটকালে হাতে বল তুলে নেন ভাঙাতরীর অসহায় কাপ্তান মাহমুদুল্লাহ। প্রথম তিন বলে কোনো রান না দিয়েই দুই সেট ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে দেখান বিজয়ের আশা। চতুর্থ বলে ক্রিজে নেমেই ছক্কা হাকান ইফতেকার আহমেদ।

অনেকটাই নিভে যায় বাংলাদেশের আশার আলো। তবে পঞ্চম বলে হোয়াইটওয়াশ থেকে দলকে রক্ষা করতে শেষ মরণকামড় দেন কাপ্তান। তুলে নেন  ইফতেকারের উইকেট। গ্যালারি ভর্তি দর্শক আরও একবার প্রাণ খুঁজে পায় তীরে এসে ডুবতে থাকা তরীতে।

কিন্তু না, শেষ বলের নাটকীয় বাউন্ডারিতে এ যাত্রায় আর রক্ষা হলো না বাংলার ক্রিকেট ভাগ্যের। পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাকে সঙ্গী করেই শেষ হলো এই টি-টুয়েন্টি সিরিজ।

এর আগে টস জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমে ৩৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে টাইগাররা। তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

১৪.২ ওভারে দলীয় ৮০ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন আফিফ। তার আগে ২১ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান করেন এই তরুণ ব্যাটার।

চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ বলে ফের ৩১ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।

এরপর মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। ৫০ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।

দুই বলে ৪ রান করে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। ১৪ বলে ১৩ রান করার সুযোগ পান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩ বলে ২ রানে রান আউট হন আমিনুল।

শেষ দিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।

মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৬.৬ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাংলাদেশ সফরে এসে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রত্যাশিত মানের ব্যাটিং কারতে পারেননি পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম দুই ম্যাচে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের গতির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ তারকা ব্যাটসম্যান।

সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বাবর আজম।

আগের দুই ম্যাচে ৭ ও ১ রানে আউট হওয়া পাকিস্তানের এই সময়ের সেরা এই ব্যাটসম্যান এদিন ফেরেন ২৫ বলে ২টি বাউন্ডারিতে ১৯ রান করে।

দ্বিতীয় উইকেটে হায়দার আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ৮৩ রানে অভিষিক্ত পেসার শহিদুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রিজওয়ান। তার আগে ৪৩ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করে ফেরেন এই তারকা ওপেনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৭ রান (মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৪৭, শামিম হোসেন ২২, আফিফ হোসেন ২০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩; মোহাম্মদ ওয়াসিম ২/১৫, ওসমান কাদির ২/৩৫)।

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৭/৫ রান (হায়দার আলী ৪৫, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪০, বাবর আজম ১৯)।

ফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।

সংবাদটি শেয়ার করুন