সদ্য সমাপ্তিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একেবারে খালি হাতে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচের মধ্যে হেরেছে একটি। তবে সুপার টুয়েলভে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি টাইগারা। এমন ভরাডুবির পর দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে তুমুল সমালোচনা চলছে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। কিত্নু এর ঠিক বিপরীতে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের খেলা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা এতো হতাশ হন কেন? আমি এই হতাশা দেখতে চাই না। কয়েকটা খেলা তো তারা (ক্রিকেট দল) চমৎকার খেলেছে। কখন যে ব্যাটে বলে ঠিক মতো লাগবে, ছক্কা হবে তাতো বলা যায় না। সবসময় সব অংক মেলে না। এটাও বাস্তব কথা।
তিনি আরও বলেন, আমরা যেটা আশা করেছিলাম, আমাদের খেলোয়াড়রা তা খেলতে পারেনি। তাই বলে আমি কিন্তু আমাদের ছেলেদের কখনও হতাশ করিনি। আমি তাদের বলি, আরও ভালো খেল। আরও মনোযোগী হও, আরও অনুশীলন করো। করোনার কারণে তারা অনুশীলন করতে পারেনি। তারপরও বাংলাদেশ আজ বিশ্বকাপে খেলছে, বেশ কয়েকটি দেশকে হারাতে পেরেছে, এটাই তো বড় কথা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমি চাচ্ছি তাদের আরও বেশি অনুশীলন করানো। আরও ভালো যেন খেলতে পারে সে ব্যবস্থা করা। সুতরাং কথায় কথায় এত হতাশ হওয়া তো ঠিক নয়। এটাই আমাদের একটা মানসিক সমস্যা হয়ে গেছে। একটুতেই হতাশ। বেশি হতাশ হওয়া যাবে না। মাঝামাঝি থাকতে হবে। আগামীতে নিশ্চয়ই (ক্রিকেটাররা) ভালো করবে। নতুন প্রজন্ম আসছে, তারা ভালো করছে।
প্রধানমন্ত্রীর এসব কথার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর এমন উৎসাহ-অনুপ্রেরণা সবসময়ই দলের জন্য কল্যাণকর।
তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্। আমিও শুনেছি (প্রধানমন্ত্রীর) কথাটা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তার এই কথা আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। সত্যি কথা বলতে, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ইতিবাচক একটা মন্তব্য।
‘প্রধানমন্ত্রী সবসময় যেভাবে আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, সমর্থন করেন এটা অবিশ্বাস্য। এর জন্য তাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের পক্ষ থেকে এটা নিশ্চিত করবো যে, আমরা যেনো আমাদের শতভাগের বেশি দিয়ে এই সিরিজটা খেলতে পারি। ইনশাআল্লাহ্।’- যোগ করেন তিনি।
আনন্দবাজার/ টি এস পি