ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলকাতার জয়ের নায়ক সাকিব

শেষ ওভারে স্নায়ুর চাপ সামলে জয় ছিনিয়ে নিয়ে কলকাতাতে ফাইনালের দৌড়ে টিকিয়ে রাখলেন সাকিব আল হাসান। সোমবার শারজাহতে অনুষ্ঠিত এলিমিনেটর ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা।

এই জয়ে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল আইপিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। আগামী ১৩ অক্টোবর ফাইনালে ওঠার ম্যাচ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে সাকিবদের দল।

টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিশ্বমানের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও সাকিব, নারাইন, বরুণদের দারুণ বোলিংয়ে বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ৭ উইকেট ১৩৮ রান তোলে কোহলির দল। জবাবে ভালো শুরুর পর মাঝের আরও দুটি মাঝারি ইনিংসে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় কলকাতা। শেষের দিকে নেমে অপরাজিত ৯ রান করে দলকে জেতান সাকিব।

বল হাতে কোনো উইকেট না পেলেও বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিয়েছেন সাকিব। ৪ ওভারে বাঁহাতি এই স্পিনারের খরচা ২৪ রান। পরে ব্যাট হাতে ৬ বলে করলেন অপরাজিত ৯ রান। এই রান নিশ্চয়ই আহামরি কিছ নয়। তবে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার যেখান থেকে দলের হাল ধরেন, সেখানে স্নায়ুর লড়াইয়ে অনেকেই দিক হারিয়ে ফেলেন।

অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব যখন উইকেটে যান, ১৪ বলে কলকাতার তখন ১৩ রান প্রয়োজন। শেষ ওভারে প্রয়োজন দাঁড়ায় ৭ রানের। ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের প্রথম বলেই স্কুপ শটে ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন সাকিব। পরের তিন বলে সাকিব ও ইয়ন মরগানের নেওয়া তিনটি সিঙ্গেলে জয় নিশ্চিত হয় কলকাতার।

১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান যোগ করেন কলকাতার দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। গিল ২৯ ও ভেঙ্কটেশ ২৬ রান করেন। এরপর নিতিশ রানা ২৩, ম্যাচ সেরা সুনীল নারাই ২৬ ও দিনেশ কার্তিক ১০ রান করেন। অধিনায়ক মরগান ৫ ও সাকিব ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বেঙ্গালুরুর মোহাম্মদ সিরাজ, হার্শাল প্যাটেল ও যুজবেন্দ্র চাহাল ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে ব্যাটিং করা বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক কোহলি। এ ছাড়া দেবদূত পাডিকাল ২১, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৫, এবি ডি ভিলিয়ার্স ১১ ও শাহবাজ আহমেদ ১৩ রান করেন। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন কলকাতার স্পিনার নারাইন। দুটি উইকেট পান লকি ফার্গুসন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন