টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অলরাউন্ড নৈপূন্যের অনন্য রেকর্ড এখন টাইগার ক্রিকেটের অন্যতম তারকা সাকিব আল হাসানের। ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাটে এক হাজারের বেশি রানের সাথে একশ’র বেশি উইকেট। এই দুর্দান্ত পারফরমেন্সের স্ট্যাট এখন শুধু সাকিবের। টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ড নৈপূন্যে সাকিবের ধারের কাছে নেই বিশ্বের কোন ক্রিকেটার।
সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিবের ঘূর্ণিতে ম্যাথু ওয়েডের উইকেটের পরই ইনিংস ধ্বস শুরু হয় অজিদের। আর সাকিব সামনে এগিয়ে যান রেকর্ড বুকে নাম লিখতে। অ্যাস্টন টার্নারের উইকেট নিয়েই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একশ’ উইকেট ক্লাবে নিজের নাম লেখেন সাকিব।
টি-টোয়েন্টিতে ৮৪ ম্যাচ খেললেন সাকিব। তার আগে সমান ম্যাচ খেলেছেন লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। ১০২ উইকেট সাকিবের, ১০৭ উইকেট নিয়েছিলেন মালিঙ্গা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একশ’র ওপর উইকেট নেই আর কোন বোলারের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১১ রান করা সাকিবের মোট রান ১৭১৮।
ম্যাথু ওয়েডরা টাইগারদের বিপক্ষে সিরিজে নিজেদের সর্বনিম্ন ৬২ রানের খারাপ লাগায় পুড়ে ধরেছে অস্ট্রেলিয়ার বিমান। রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানে উঠবেন সাকিবও, সাথে অসাধারণ এক অলরাউন্ড রেকর্ড, ম্যাচ সেরার পুরস্কারতো আছেই, আছে সিরিজ সেরার পুরস্কারও।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শেষ ম্যাচটা ৬০ রানের বড় ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতলেন স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে ১১ রান করেন সাকিব। বল হাতে ৩.৪ ওভারে ৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। টি-টোয়েন্টিতে এটা তার দ্বিতীয় ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। তার সেরা বোলিং ফিগার ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২২ গড়ে রান সাকিবের। যা এই সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বল হাতে ৭ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
আনন্দবাজার/শহক