ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও ঝুলে গেল টাইগারদের শ্রীলঙ্কা সফর

আবারও ঝুলে গেল টাইগারদের শ্রীলঙ্কা সফর। করোনা পরিস্থিতি এবং দেশটির কোয়ারেন্টাইন প্রটোকল পরিবর্তন হওয়ায়, আবারও শঙ্কার মুখে পড়ল টেস্ট সিরিজটি। তবে পুরো দেশ এক সপ্তাহের লকডাউনে গেলেও, সিলেটে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি চালাতে চায় ক্রিকেট বোর্ড। দল দুটো বায়োবাবলে থাকায় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম।

মাত্র ২৪ ঘণ্টায় বদলে গেল কতকিছু। একদিন আগেই, বিসিবির প্রধান নির্বাহী সময় সংবাদকে জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়েই হবে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর। বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতি খারাপের দিকে থাকলেও, সিরিজটি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি।

কিন্তু রাত পোহাতেই আবারও শঙ্কার মুখে পড়ল টাইগারদের সফর সূচি। শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালেই বাংলাদেশ সরকারের দুইজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর মুখে শোনা যায় লকডাউনের কথা। এরপরই বাতাসের বেগে চারদিকে ছড়িয়ে যায় সংবাদটি। আর এরপরেই, নির্ধারিত সিরিজ নিয়ে বিপাকে পড়ে বিসিবি।

তবে, তারও আগে নিজেদের কোভিড প্রটোকল পরিবর্তন করে ঝামেলার আভাস দেয় শ্রীলঙ্কা। নতুন প্রটোকলে দেখা যায়, বাইরে থেকে আসা যে কোনো মানুষকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ঢুকতে হলে। যেটা, বাংলাদেশ দলের জন্য আগে ছিল মোটে তিনদিন।

ঘটনাগুলো নিয়ে বিস্তারিত কোনো বক্তব্য আসেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। মূলত সরকারের নির্দেশের জন্যই অপেক্ষা করছে তারা। পাশাপাশি, লকডাউন এবং লঙ্কান কোয়ারেন্টাইন ইস্যু নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গেও আলাপ করতে চায় বোর্ড।

এদিকে, লঙ্কা সফর নিয়ে কোন বক্তব্য না দিলেও, নারী ক্রিকেট নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানে আছে বিসিবি। লকডাউন হলেও, আগের সূচি অনুযায়ীই দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চায় তারা। যুক্তি হিসেবে, দল দুটি বায়োবাবলে থাকার কথা বলছেন নারী উইং সভাপতি।

বিসিবি নারী উইংয়ের সভাপতি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘আমরা আপাতত রোববারের ম্যাচটা খেলবো। এরপর সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবো। কিন্তু, আমরা চাই টুর্নামেন্টটি হোক। কারণ এখানে দুটি দল বায়োবাবলে আছে। নিয়মিত তাদের টেস্ট করা হচ্ছে। এ ম্যাচে কোনো দর্শকও থাকছে না। তাই লকডাউনে গেলেও, আমাদের টুর্নামেন্ট চালাতে কোনো সমস্যা হবে না।’

জাতীয় দলের মতো কিছুটা বিপাকে পড়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলও। আগামী ১২ এপ্রিল দেশে আসার কথা ছিল পাকিস্তানের যুবাদের। কিন্তু, লকডাউনের কারণে, এখন সেটাও আপাতত দৃষ্টিতে ঝুলে গেল বলেই মনে হচ্ছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন