ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধরাই রয়ে গেল বাংলাদেশের জয়

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অধরা জয় ছিনিয়ে নিতে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। সঙ্গে চেয়েছিল সিরিজ বাঁচাতে। ডানেডিনের ব্যাটিং ধসের দুঃস্বপ্ন ভুলে ক্রাইস্টচার্চে রানের দেখাও পেয়ে যায় অতিথিরা। গড়ে ২৭১ রানের লড়াকু পুঁজি। কিন্তু বোলাররা জ্বলে উঠতে না পারায় জয় অধরাই রয়ে গেল। সঙ্গে হাতছাড়া হলো ওয়ানডে সিরিজও।

ম্যাচসেরা টম লাথামের হার না মানা সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে জিতে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিল নিউজিল্যান্ড। দুরন্ত এ জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করল ব্ল্যাক ক্যাপস শিবির।

দুর্বার এক স্লোয়ারে মার্টিন গাপটিলকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দিয়ে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন ২৮। দলীয় স্কোর ৪৩ রান ছুঁতেই এবার আঘাত হানেন মেহেদি হাসান। ১০ রানের ব্যবধানে ফেলেন হেনরি নিকোলস ও উইল ইয়াং’র উইকেট।

লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের বোলিং ঝলকানি বলতে এতোটুকুই। তার পরই চলতে থাকে কিউইদের ব্যাটিং ঝলক। আর টাইগারদের বাজে ফিল্ডিং আর ক্যাচ মিসের মহড়া। ওয়ানডাউনে নামা ডেভন কনওয়ে ৭২ রানের ইনিংস খেলে পড়েন তামিম ইকবালের রানআউটের ফাঁদে। তার ৯৩ বলের অর্ধ-শতকের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি। ১১৩ রানের পার্টনারশিপটা ভাঙলেও বিস্ফোরক ব্যাটিং চালিয়ে যান ক্যাপ্টেন লাথাম। ১০৮ বলে ১০ চারে খেলেন ১১০ রানের অধিনায়কোচিত অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। এই লাথামের ক্যাচই মিস করেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মেহেদি হাসান। হাত ছাড়া হয় কয়েকটি সরাসরি থ্রোয়ে রান আউটের সুযোগও। জেমস নিশামের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মুশফিকুর রহিম।

লাথাম-ডেভনের ব্যাটিং হাসিতে ৪৮.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য টপকে ২৭৫ রান তুলে ফেলে কিউইরা।

সেঞ্চুরি হাতছানি দিয়েছিল তামিম ইকবালকেও। সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত শতক পাননি টাইগার ক্যাপ্টেন। উঁকি দিয়েও ক্যারিয়ারের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ধরা দেয়নি। ক্যারিয়ারের ৫০তম হাফ-সেঞ্চুরিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তামিমকে। তার সঙ্গে অর্ধ-শতক পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। দুজনের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সামনে ২৭২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় টাইগাররা।

ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে টস হেরে শুরুতে ব্যাট হাতে নেমে তামিম ১১ চারে ১০৮ বলে ৭৮ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরলেও ৭৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন মিঠুন। দলীয় স্কোরে মুশফিকুর রহিম ৩৪ এবং সৌম্য সরকার যোগ করেন ৩২ রান।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন