আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-২০ টুর্নামেন্টের জন্য প্রথম ধাপে সাড়ে তিনশ জনের করোনা টেস্ট করা হবে । টানা তিন দিন ধরে হবে এই টেস্ট। বায়োসিকিউর বাবলে থাকা প্রত্যেক সদস্যকে টুর্নামেন্ট চলাকালেও বিভিন্ন পর্যায়ে টেস্ট করাতে হবে।
এই টুর্নামেন্টের পাঁচটি দল খেলবে। ফলে দলের বায়ো-বাবল জোনের ব্যাপ্তিও বেশি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, সোনারগাঁও হোটেলের নির্দিষ্ট এলাকা এবং মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের বেশিরভাগ গ্রিন জোনে রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, স্টেডিয়ামের জোন ভাগ করা রয়েছে। একক অনুশীলন যেভাবে চলেছে ২১ নভেম্বর থেকে, সেটা থাকবে না। গ্রিন জোন সংরক্ষিত করা হবে। একাডেমি ভবনের পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়াপল্লিকেও বায়ো-বাবলের ভেতরে নিয়ে আসা হতে পারে।
টুর্নামেন্টের দল ও খেলোয়াড় বেশি থাকায় বায়ো-বাবল বাস্তবায়নে দুইজন করোনা হেলথ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি আইসোলেশন সেন্টারও প্রস্তুত করা হয়েছে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে জাতীয় ক্রীড়াপল্লি এবং জাতীয় সুইমিংপুলের হোস্টেলে রাখা হতে পারে।
করোনা বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে করোনা টেষ্ট শুরু হচ্ছে আজ থেকে। দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আজ, কাল ও পরশু এই তিন দিন অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াডসহ ৪০০ জনের করোনা টেস্ট করা হবে। নেগেটিভ রিপোর্ট হওয়া খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা হোটেলে উঠবেন। ক্রিকেটারদের কারও করোনা পজিটিভ হলে প্লেয়ার্স ড্রাফটে যারা দল পাননি সেখান থেকে বিকল্প নেওয়া যাবে। পাঁচটি দল হোটেলে ওঠার পর ২১ নভেম্বর থেকে বায়ো-বাবলে দলীয় অনুশীলন শুরু হবে। যদিও ফরচুন বরিশাল, জেমকন খুলনা ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম নিজেদের মতো করে অনুশীলন করেছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি