দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে ম্যাচ খেলতে পেরেছেন আর্জেন্টাইন তারকারা। শুক্রবার শুরু হয়ে গেছে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলা। প্রথমদিন ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির করা গোলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুভসূচনাই করেছে আলবিসেলেস্তেরা।
তবে ম্যাচটা খুব একটা সহজে জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় লিওনেল মেসির পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এই এক গোলের লিডেই স্বস্তির জয়ে মাঠ ছাড়া, এর বাইরে মাঠের খেলায় খুব একটা আশা জাগানিয়া ছিলো না আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স।
আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলো বোঝাপড়ার অভাব, মাঠে দেখা গেছে ভুল পাসের ছড়াছড়ি। এর সাথে যোগ হয় ইকুয়েডরের শরীরী ফুটবলের মেলা। তাই নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। তবে জয় পাওয়ায় সন্তুষ্ট অধিনায়ক মেসির।
ম্যাচশেষে অধিনায়ক মেসি বলেন, আমরা জানতাম এটা খুবই কঠিন হতে চলেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা ম্যাচটা জিতেছি এবং আমাদের এখন নিজেদের খেলার উন্নতির জন্য কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাছাইপর্ব কতটা কঠিন হয় তা সবারই জানা। তাই জয় দিয়ে শুরুটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে সব ম্যাচই কঠিন। আমরা এমন লড়াইয়ের কথা ভেবেই রেখেছিলাম। লম্বা সময় ধরে খেলার বাইরে। যে কারণে উদ্বেগটাও ছিলো চরমে।
মেসি জানান, পুরো বছরটা খুবই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। আমরা এখন যা দেখছি তা কেউ কখনও আশা করেনি। তবে জাতীয় দলের হয়ে আবার খেলতে পারা, ম্যাচ জেতার মাধ্যমে মানুষদের আনন্দ দিতে পারাটা আসলে খেলার স্বার্থেরও ঊর্ধ্বে। এটা চাপ কমিয়ে দেয়। আমি এই খেলার মাধ্যমে প্রত্যেক আর্জেন্টাইনকে সাহস ও শক্তি পাঠাতে চাই।
আনন্দবাজার/টি এস পি