আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২০০ হওয়ার পরেও সেই ম্যাচ সুপার ওভারে গড়িয়েছে। আগে ব্যাট করতে নেমে ২০১ রান করেছিল ব্যাঙ্গালুরু। পরে মুম্বাইয়ের ইনিংসও থামে ঠিক ২০১ রানে।
এদিকে ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক কোহলির ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের অবস্থা তথৈবচ। আইপিএলের তিন ম্যাচে মাত্র ১৮ রান করেছেন তিনি। কোহলির ঠিক উল্টো অবস্থায় রয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর আরেক তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্স। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটিতে ২৪ বলে ৫৫ রানের টর্ণেডো ইনিংস খেলে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। আগের দুই ম্যাচে করেছেন যথাক্রমে ৩০ বলে ৫১ এবং ১৮ বলে ২৮ রান।
এবি ডি ভিলিয়ার্সের এই পারফরম্যান্সে তার মতো হওয়ার বাসনা জেগেছে বিরাট কোহলির মনে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিরাট কোহলি বলেন, সত্যি বলতে, আমার ইচ্ছা হয়, যদি আমি এবি ডি ভিলিয়ার্স হতে পারতাম! দীর্ঘ বিরতির পর সে এসেছে মাঠে। যেভাবে সে ব্যাটিং করেছে, কিছু শট খেলেছে, সত্যিই অবিশ্বাস্য। বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলার কাজটা সেই সেরাভাবে করতে পারে। সবকিছু সহজ রাখতে পছন্দ করে এবং নিজের জীবনকে উপভোগ করে। সবচেয়ে বড় কথা, নিজের সামর্থ্যে কখনও প্রশ্ন করে না। সবসময় শান্ত থাকে, তার কাছ থেকে এসবই চাই আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমার এখন আসলে কিছু বলার নেই। এটা রোলার কোস্টারের মতো একটা ম্যাচ ছিল। আমার মতে তারা খুব ভালো খেলেছে, ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে ধৈর্য্য রেখেছে। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছিলাম। খুবই ক্লোজ একটা ম্যাচ জিতেছি। যেখানে ছোট ছোট বিষয় বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।
কোহলি বলেন, জাসপ্রিত বুমরাহর বিপক্ষে টক্কর দেয়াটা দারুণ ছিল। উচ্চ মানের ক্রিকেট এবং এমন সব ম্যাচ হলে মানুষও দেখতে ভালোবাসে। কিছু পরিবর্তন আমরা এনেছিলাম। ওয়াশিংটন সুন্দরকে পাওয়ার প্লে’তে বোলিং করিয়েছি। গুরকিরাত শিং ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পায়নি, তবে দারুণ ক্রিকেটার। সাইনি দারুণ এক সুপার ওভার করেছে। ইয়র্কার এবং ওয়াইড ডেলিভারির দুর্দান্ত ব্যবহার দেখিয়েছে সে। সামনের দিনগুলোতে এই ম্যাচ আমাদের অনেক সাহায্য করবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি