ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে জিতেছে ইংলিশরা। তবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৫ রানের দারুণ জয় পেয়েছে সফরকারীরা।
গতকাল রাতে (১ সেপ্টেম্বর) ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে মোহাম্মদ হাফিজের ঝড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান করে পকিস্তান। জবাবে মঈন আলীর দানবীয় ইনিংস সত্ত্বেও ৮ উইকেটে ১৮৫ রানে ইনিংস থেমে যায় ইংলিশদের।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। তবে ৩২ রানে দুই ওপেনার ফখর জামান ও বাবর আজমকে হারানো পাকিস্তান এগিয়ে যায় ক্যারিয়ারের দুই প্রান্তে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায়। ১৯ বছর বয়সী হায়দার আলির সাথে শতরানের জুটি উপহার দেন ৩৯ বছর বয়সী হাফিজ। সিরিজে টানা দ্বিতীয় ফিফটি পাওয়া হাফিজ দলকে নিয়ে যান দুইশ রানের কাছাকাছি। ৫২ বলে ছয় ছক্কা ও পাঁচ চারে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন হাফিজ।
এদিকে ১৯১ রান ও সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান জমা করতেই প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ওপেনার ও উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। পরে দলীয় ২৬ রানে ডেভিড মালান (৭), ৬৫ রানে অধিনায়ক ইয়ন মরগান (১০) দ্রুত বিদায় নেয়ার পর চাপে পরে ইংলিশরা। এরপর স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪ রান যোগ হতেই রউফের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন দুর্দান্ত খেলতে থাকা ওপেনার টম বার্টন (৪৬)।
সেখান থেকেই ইংল্যান্ডকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন মঈন। স্যাম বিলিংসকে (২৬) সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন তিনি। এরপর ওয়াহাব রিয়াজের করা ইনিংসের ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
ইংলিশদের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। কারেন ও আদিল রশিদ চেষ্টার কমতি করেননি। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে কারেনের ছক্কায় জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা। কিন্তু শেষ বলে রউফের বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেননি তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৯০/৪ (হাফিজ ৮৬*, হায়দার ৫৪; জর্ডান ২/২৯)
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮৫/৮ (মঈন ৬১, ব্যান্টন ৪৬; ওয়াহাব ২/২৬)
ফলাফল: পাকিস্তান ৫ রানে জয়ী।
আনন্দবাজার/এম.কে