সাত বছর পর ফের ইউরোপ সেরা হওয়ার উৎসবে মেতেছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে শেষ ধাপে এসে পিএসজির সঙ্গী হারের বিষাদ। আর এই জয়-পরাজয়ের মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের অনেক কিছুই পরিসংখ্যানের পাতায় আঁচড় কেটেছে।
রবিবার রাতে পর্তুগালের লিসবনে কিংসলে কোমানের একমাত্র গোলে পিএসজিকে হারায় বায়ার্ন মিউনিখ। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে ষষ্ঠ শিরোপার স্বাদ পেল জার্মানির ক্লাবটি।
লিসবনের ফাইনালের কীর্তি ও পরিসংখ্যান:
১. চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১-০ গোলের নিষ্পত্তি হওয়া চতুর্থ ফাইনাল ম্যাচ এটি। এর আগে ১৯৯৮ সালে সবশেষ ইউভেন্তুসকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
২. দুটি করে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনাল জয়ীদের তালিকায় নাম উঠে এসছে মানুয়েল নয়ার, জেরোমে বোয়াটেং, দাভিদ আলাবা, টমাস মুলার, হাভি মার্তিনেস ও থিয়াগো আলকান্তারার।
৩. আট মৌসুমে দুইবার ট্রেবল জয়ের কীর্তি করেছেন মুলার, নয়ার, বোয়াটেং, আলাবা এবং মার্তিনেস। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম ট্রেবল জিতেছিল বায়ার্ন। আর সে সময় এই পাঁচ যোদ্ধা ছিলেন ওই সাফল্যেরও সারথী।
৪. ২০০২ সালের জিনেদিন জিদানের পর প্রথম ফরাসি কোন খেলোয়াড় হিসেবে এ প্রতিযোগিতার ফাইনালে জয়সূচক গোল করলেন কোমান। আর ফাইনালে গোল করার হিসেবে পঞ্চম ফরাসি খেলোয়াড় এখন তিনি।
৫. ইউরোপ সেরার আসরে তৃতীয় ক্লাব হিসেবে ৫০০ গোলের মাইলফলক পূরণ করেছে বায়ার্ন। অন্য দুই দল রিয়াল মাদ্রিদ (৫৬৭টি) ও বার্সেলোনা (৫১৭টি)
৬. প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে সবগুলো ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে বুন্ডেসলিগার ক্লবটি। সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ২১ ম্যাচ জিতে মৌসুম শেষ করল বায়ার্ন।
আনন্দবাজার/এম.কে