ঢাকা | শুক্রবার
২রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কা সফরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন সাকিব!

আগামী ২৯ অক্টোবর সাকিব আল হাসানের এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারপরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসবেন তিনি। তবে শোনা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরে প্রস্তুতি শুরু করবেন সাকিব। নিজের সাবেক শিক্ষায়তন বিকেএসপিএকেই ফেরার প্রস্তুতির জন্য বেছে নিচ্ছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রস্তাবিত সিরিজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ২৪ অক্টোবর থেকে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাবে প্রথম টেস্ট।

তবে শ্রীলঙ্কা সফরেই টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের কামব্যাক করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মোহন ডি সিলভা জানিয়েছেন, দুই বোর্ড বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর তারিখের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তবে, কথাবার্তা হচ্ছে, এই সফরে কি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হবে নাকি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সঙ্গে অতিরিক্ত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি যোগ করা হবে।

এর আগে জানা যায়, সাকিব আল হাসান আগামী মাস থেকেই বিকেএসপিতে অনুশীলন শুরু করতে যাচ্ছেন। তার ফুল ফিটনেসের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টও। এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত ফিটনেস লেভেলটা তিনি ঠিক করতে পারেন।

কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোও জানিয়েছেন, সাকিবের ফেরা নির্ভর করছে তার ফিটনেস লেভেলের ওপর এবং সম্ভবত তার অধীনে কিছু ম্যাচ সময় অতিবাহিত করতে হবে। এছাড়া ডোমিঙ্গো সাকিবের এক বছরের গ্যাপটাকেও বিবেচনায় আনতে চাচ্ছেন। কারণ এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, এই এক বছরে বর্তমান স্কোয়াডের সদস্যদের সঙ্গে সাকিবের কি পার্থক্য তৈরি হয়েছে। যদিও এর মধ্যে করোনা মহামারির কারণে প্রায় ৬ মাস বন্ধ ক্রিকেট। তাই অন্যদের সঙ্গে সাকিবের খুব একটা পার্থক্য হওয়ার কথা নয়।

রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, আমি মনে করি না যে, সাকিব আল হাসান এক বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও, সেটা অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার বড় একটা পার্থক্য তৈরি করবে। কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে এমনিতেই প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ৬ থেকে ৭ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। আমরা আশা করবো, সব ক্রিকেটারই ফিট থাকবে। অবশ্যই এটা দেখবো যে প্রতি ক্রিকেটারের মিনিমাম ফিটনেস লেভেলটা থাকুক। আমরা সাকিব আল হাসানের জন্য কিছু গেম টাইম আয়োজন করবো। একই সঙ্গে অন্য ক্রিকেটারদের জন্যও। কারণ, কোনো ক্রিকেট সংযুক্তিছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা খুবই কঠিন। আমরা মনে করি, সাকিবের জন্য কিছু ম্যাচের আয়োজন করে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ করে দেয়া প্রয়োজন। সে হচ্ছে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। সুতরাং, আমি নিশ্চিত, সে খুব তাড়াতাড়িই ক্রিকেটে ফিরে আসবে। তবে, ফিটনেসটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আনন্দবাজার/টি এস

সংবাদটি শেয়ার করুন