বোলাররা মুখের থুতু বা লালা ব্যবহার করেন পুরনো বলের আচরণ পরিবর্তন করতে। এর ফলে পেসাররা বাড়তি সুইং পান। এটি স্পিনারদের সহায়তা করে গ্রিপ করতে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন চায় করোনা পরবর্তী বিশ্বে বোলারদের এই অভ্যাস বদলে দিতে।
কারণ ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবরার এপিডেমিওলোজিস্ট রোল্যান্ড কাওয়ের মতে, থুতু হচ্ছে সংক্রমণ ছড়ানোর ‘ক্ল্যাসিক’ পদ্ধতি। তিনি জানান, ‘ফলে এর ঝুঁকি বেশি। এ রকম করতে দেওয়ার ব্যাপারটা মোটেই ঠিক কিছু হবে না।’
তার মনে করেন, শুধু করোনা ভাইরাস নয়, অন্য রোগ ছড়ানোরও উপায় হতে পারে বলে থুতু দেওয়া।
এ ব্যাপারে মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের থেকে জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ান স্পোর্টস ইনস্টিটিউট (AIS) এই বিষয় নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা এবং ক্রীড়া সংস্থারগুলির সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। নতুন করে ক্রিকেট চালু হলে কী কী নিয়ম মানতে হবে, সবাই মিলে তার জন্য একটি গাইডলাইনও তৈরি করেছে তারা। সেখানেই বলা হয়েছে, বলে থুতু বা ঘাম লাগানো থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
আনন্দবাজার/এস.কে