শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপনে ৯১ খেলোয়াড়কে সাহায্য করলেন তামিম

করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে অসহায় হয়ে পড়া খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গোপনে দেশের জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন খেলার খেলোয়াড়দের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন তিনি।

ক্রিকেটার, হকি খেলোয়াড়, ভারোত্তলক, জিমন্যাস্ট, সাঁতারু সহ মোট ৯১ জন খেলোয়াড়কে খুঁজে খুঁজে যোগাযোগ করে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছেন তামিম। এর আগে ক্রিকেটার নাজমুল হাসানের সাহায্যের উদ্যোগেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। অসহায় মানুষের সাহায্যে মোহাম্মদপুরের স্বেচ্ছাসেবী নাফিসার সাথেও হয়েছিলেন অংশীদার।

করোনা সংকটের এই সময়ে অস্বচ্ছল খেলোয়াড়দের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অঙ্গনের খেলোয়াড়দের খোঁজ নেয়া শুরু করেন তামিম। পরিচিত খেলোয়াড়, কোচ, সাংবাদিক ও ক্রীড়াঙ্গনে থাকা বন্ধু এবং পরিচিতজনদের কাছে অস্বচ্ছল খেলোয়াড়দের খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন জেলার ৯১ জন সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়ের তালিকা করে এই সাহায্য করেন তামিম।

সাঁতারু মাহফুজা বলেন, তামিম ভাই এটা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। তবে আড়ালে থাকা বিষয়গুলো কিছু কিছু সময় বাইরে আসা উচিত। অন্যরা এতে উৎসাহিত হবে। আমার এক ক্রিকেটার বন্ধু ফোন দিয়ে বিষয়টা জানায়। সে বলল, তামিম ভাই ক্রিকেট ছাড়াও অন্য খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে চান। ২০০৩ সাল থেকে খেলাধুলা করছি। কিন্তু এর আগে এভাবে বড় খেলার কোনো খেলোয়াড়কে ছোট খেলার খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে দেখিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন এক হকি খেলোয়াড় বলছিলেন, আমার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে সাহরি ও ইফতারি কেনার কোনো টাকা ছিল না। তামিম ভাইয়ের এই উপকারের কথা কোনো দিন ভুলতে পারব না।

আরও পড়ুনঃ  টেলিভিশনে আজকের খেলার সূচি

সাঁতারু নাঈম সর্দারের এক ভাই রিকশা চালান। আরেক ভাই গ্রামের মসজিদের ইমাম। অভাবের সংসারে তামিমের হঠাৎ সহায়তায় আবেগাপ্লুত নাঈম বলেন, এই দুর্দিনে এমন সহযোগিতা আমাদের জন্য বিশাল কিছু। আমি তো টাকা পেয়ে কেঁদেই ফেলেছিলাম।

তামিম ইকবাল চাননি তার এই উদ্যোগের কথা কেউ জানুক। তাই এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্যও করেননি। এক হকি খেলোয়াড় বলেন, আমি কষ্টে আছি, তবু আজ পর্যন্ত হকির কেউ আমার জন্য এগিয়ে আসেনি। তামিম ঠিকই এগিয়ে এলেন। তাহলে কেন বলব না তার কথা!

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন