বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাশরাফির শোকে প্রকৃতির কান্না

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অধিনায়ক হিসেবে আজ বিদায় নিচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার বিদায়ী ম্যাচে  হাজারো ভক্তে সাথে কেঁদেছে প্রকৃতিও।  অধিনায়ক হিসেবে  জিম্বাবুয়ের সাথে এটায় তার  আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ ম্যাচ।

এর আগে ২০১৭ সালে ৬ই এপ্রিল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলা থেকে অবসর নেন মাশরাফি। সেদিনও কেঁদেছিল আকাশ। ভক্ত ও সতীর্থদের পাশাপাশি মাশরাফির বিদায় মেনে নিতে পারেনি প্রকৃতিও।

২০০৯ সালের শুরুতে মাশরাফি অধিনায়ক আশরাফুলের সহকারী অধিনায়ক ছিলেন। এরপর ২০১০ সালের জুন মাসে অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে নিজের প্রথম ম্যাচেই হাঁটুতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে দিত্বীয় মেয়াদে অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি।

২০০১ সালের ২৩শে নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় মাশরাফির। ২০০৬ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারী ছিলেন মাশরাফি। এসময় ৪৯টি উইকেটের মালিক ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। ওইদিন ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি।

বোলারের পাশাপাশি মাশরাফি একজন মারকুটে ব্যাটসম্যানও। ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় ভারতের বিপক্ষে পরপর চার বলে ছক্কা পেটান তিনি। সেই ওভারে ২৬ রান সংগ্রহ করেন তিনি, যা প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

আরও পড়ুনঃ  বিরতির পর ন্যু ক্যাম্পে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বার্সেলোনা

মাশরাফি অধিনায়ক হওযার পরই বদলে যায় দলের চিত্র। মাশরাফির অধিনায়কত্বে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয় করে। মাশরাফির নেতৃত্বেই ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে খেলে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাশরাফির নেতৃত্বেই সেমিফাইনালে খেলেছিল টাইগাররা।

আনন্দবাজার/ পুষ্প

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন