বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। তাইতো দুঃসময়কে ছুটিতে পাঠিয়ে নব কিশলয়ের সুবাতাস ছড়িয়ে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির মাইল ফলক স্পর্শ করলেন তিনি। এতে করে নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়।
টেস্টে এখন তিনি, তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক। এমন কীর্তিতে কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডস, সনাৎ জয়সুরিয়া, স্টিফেন ফ্লেমিংদের পাশে বসে গেছে তার নাম । তাদেরও রয়েছে তিনটি করে টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি। তালিকাটা অবশ্য এখানেই শেষ না। ক্রিকেট ইতিহাসে মুশফিকসহ মোট ১৪ জনের রয়েছে তিনটি করে ডাবল সেঞ্চুরি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই টেস্ট শুরুর আগ পর্যন্ত টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তামিম ইকবাল। ২০৩ রানের হার না মানা এই ইনিংস খেলে তামিমকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। টেস্ট মুশফিকের রান ৪ হাজার ৪১৩ রান আর তামিমের রান ৪ হাজার ৪০৫।
মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো না হলেও সেটা ভুলিয়ে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। নেতার মতোই খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। তিনি ১৩২ রান করে ফিরলেও মুশফিক স্পর্ষ করেন ডাবল সেঞ্চুরি।
১৬১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা এই ব্যাটসম্যান ডাবল সেঞ্চুরির পথ মাড়াতে আরও বেশি ধীর-স্থির ছিলেন। উইকেটকিপিং ছাড়ার পর এটাই মুশফিকের প্রথম সেঞ্চুরি।
শুরুতে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি করে মোহাম্মদ আশরাফুলকে পেছনে ফেলেন মুশফিক। একই ইনিংসে তামিমকে ছাড়ানোর পাশপাশি কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পাশেও নিজের নামটি বসিয়ে নিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম সেরা এই ভরসা।
সাত সেঞ্চুরির চারটিই দেশের বাইরে করেছেন মুশফিক। ওই চার সেঞ্চুরি অধিনায়ক থাকা অবস্থায় করেছেন তিনি। অধিনায়কত্ব না করে বাকি যে তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন, সবগুলোই দেশের বাইরে। অর্থাৎ, নেতা মুশফিক বিদেশের মাটিতেই বেশি সাবলীল!
বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিও মুশফিকের। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০ রানের ইতিহাস গড়া ইনিংসটি আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেন তামিম। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৬ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি।
আনন্দবাজার/শহক