সুলেমানে দিয়াবাতে নেই। পেশিতে টান পড়ায় খেলছেন না। তারওপর ম্যাচের ২০ মিনিটে মোহামেডানে স্পোর্টিং ১০ জনের দল হয়ে যায়। তখনও কোনও গোল পায়নি আলফাজ আহমেদের দল। ম্যাচ জিততে পারবে কিনা সংশয়। তবে শঙ্কা কাটিয়ে মোহামেডান একজন কম নিয়ে খেলেও দুর্বার। প্রিমিয়ার লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-১ গোলে।
শনিবার ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ২০ মিনিটে মারাত্মক ফাউলের কারণে লালকার্ড দেখেন মোহামেডানের শাকিল আহাদ তপু। লাফিয়ে ওঠা বলে হেড করতে গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অনিক ঘোষ, একই সময়ে উঁচু করে ডান পা চালিয়ে দেন তপু। তার পা গিয়ে লাগে অনিকের কাঁধের নিচে! ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে মাঠেই শুয়ে পড়েন অনিক। বিপদজনক ফাউলের কারণে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন তপু।
১০ জন নিয়ে রহিম উদ্দিন-ইমানুয়েল সানডেরা চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষের জালে বল ঠেলতে পারেননি।
যোগ করা সময়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর শুভরাজ বংশীর ক্রস সরাসরি ক্রসবার স্পর্শ করলেও পরবর্তীতে গোলকিপার সুজন গোল হতে দেননি। তবে বিরতির পর মোহামেডান দুর্বার। তাদের আর আটকে রাখা যায়নি।
৪৭ মিনিটে মোহামেডান গোলের খাতা উন্মুক্ত করে। মুজাফফরভের কর্নারে বুরকিনা ফাসোর ডিফেন্ডার মোনজির কলিদিয়াতি লাফিয়ে উঠে বল জড়িয়ে দেন জালে।
৫১ মিনিটে সানডের কোনাকুনি শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
চার মিনিট পর আর সানডে ব্যর্থ হননি। আরিফ হোসেনের দারুণ এক কাটব্যাক থেকে নাইজেরিয়ান অ্যাটাকার প্লেসিং করে দিয়ে ব্যবধান বাড়ান।
৫৮ মিনিটে সানডের ক্রসে সৌরভ দেওয়ানের বাঁ পায়ের প্লেসিং ক্রসবারের মাঝামাঝি জায়গায় লেগে গোল হয়নি।
৬৩ মিনিটে মোহামেডানের স্কোরলাইন ৩-০। আর্নেস্ট বোয়েটেং বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শট নিলেও তা সাইডবারের নিচে লেগে ফিরে আসে,ফিরতি বলে দৌড়ে এসে জায়গা করে নিয়ে সৌরভ জোরালো শটে জাল কাঁপাতে ভুল করেননি।
৮৮ মিনিটে সানডের ক্রস সেলিম রেজা ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন।
দুই মিনিট পর সৌরভ নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে পঞ্চম গোল উপহার দেন।
যোগ করা সময়ে চট্টগ্রাম আবাহনী পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ দেয়। ইমতিয়াজ সুলতান জিতু গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে জালে জড়িয়ে দলকে কিছুটা সান্ত্বনা এনে দেন।
দিনের অন্য ম্যাচে মুন্সীগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে.মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে। ঘানার অ্যাটাকার স্যামুয়েল বোয়েটেং একাই ৬ গোল করে সবাইকে চমকে দেন। ২৩ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে ঠাণ্ডা মাথার শটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর বোয়েটেং ৪৪ মিনিটে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল করেন ঘানার এই ফরোয়ার্ড। এই ম্যাচের ঝলকে ১০ গোল করে এক লাফে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন বোয়েটেং। ব্রাদার্স ইউনিয়নের চেক সিনে ৬ গোল নিয়ে নেমে গেলেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।
আনন্দবাজার/ এমকে