এজন্যই দলটিকে বলা হয় আনপ্রেডিক্টেবল। পাকিস্তান কখন কী করবে, বলা মুশকিল। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের কাছে বৃষ্টি আইনে ৮০ রানের বড় হার দেখেছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই পাকিস্তাই রীতিমত দুমড়ে মুচড়ে দিলো প্রতিপক্ষকে। জিম্বাবুয়েকে ১৪৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে সায়েম আইয়ুবের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে পাকিস্তান।
ছোট লক্ষ্য পাকিস্তান তাড়া করে ফেলেছে ১৮.২ ওভারেই। পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসের যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন তরুণ সায়েম আইয়ুব। ৫৩ বলেই সেঞ্চুরি হাঁকান মারকুটে এই ওপেনার। তার আগে ৫৩ বলে, ৪৫ বলে আর ৩৭ বলে সেঞ্চুরি আছে শহিদ আফ্রিদির।
সায়েম আইয়ুব আর আবদুল্লাহ শফিক মিলে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন। সায়েম ৬২ বলে ১৭ চার আর ৩ ছক্কায় ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এটি তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসও। ৪৮ বলে ৩২ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন আবদুল্লাহ শফিক।
এর আগে বুলাওয়েতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় জিম্বাবুয়ে। ২৩ রানে ২ উইকেট হারালেও একটা সময় ঘুরে দাঁড়িয়েছিল স্বাগতিকরা। ৫ উইকেটে তারা তুলেছিল ১২১ রান।
সেখান থেকে আর মাত্র ২৪ রান তুলতে শেষ ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের কেবল দুজন ব্যাটার ত্রিশের ঘর ছুঁতে পেরেছেন-ডিয়ন মায়ার্স (৩৩) আর শন উইলিয়ামস (৩১)।
জিম্বাবুয়ের একটি রানআউট বাদ দিলে বাকি ৯টি উইকেটই নিয়েছেন পাকিস্তানি স্পিনাররা। আবরার আহমেদ ৪টি, সালমান আলি আগা ৩টি, সায়েম আইয়ুব আর ফয়সাল আকরাম নেন একটি করে উইকেট।