ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরাজে বাজিমাত, প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট পাকিস্তান

মিরাজে বাজিমাত, প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট পাকিস্তান

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিলো ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রানে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম টেস্টের সেই স্কোরের কাছাকাছিও যেতে পারলো পাকিস্তানি ব্যাটাররা। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে অলআউট হয়ে গেছে ২৭৪ রানে। এদিন মেহেদী হাসান মিরাজ ২২.১ ওভার বল করে ৬১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন।

বৃষ্টির কবলে পড়ে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন পুরোটাই ভেসে গেছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) দ্বিতীয় দিন হলো টস। জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতেই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতেই ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শরিফুলের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে পড়েন পাকিস্তানি ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। ৬ বল খেলে তাসকিনের বলে বোল্ড হলেন তিনি। দ্বিতীয় ইউকেট জুটিতে কিন্তু ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। সাইম আইয়ুব এবং অধিনায়ক শান মাসুদ মিলে ১০৭ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে তোলেন। ৬৯ বলে ৫৭ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউর শিকার হলেন। ১১০ বলে ৫৮ রান করে আউট হয়ে যান সাইম আইয়ুব। বাবর আজম চেষ্টা করেছিলেন ইনিংসটা বড় করার; কিন্তু সাকিব আল হাসানের বলে এলডব্লিউর শিকার হলেন তিনি। সউদ শাকিল করেন ২৮ বলে ১৬ রান। তাসকিনের বলে বোল্ড হলেন তিনি।

তবে, মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আগা সালমান মিলে মাঝপথে আরও একবার চেষ্টা করেন হাল ধরার। কিন্তু তাদের লড়াইটা খুব বড় হতে পারেনি। ৬৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। আগা সালমান হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৯৫ বল খেলে ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। খুররম শাহজাদ করেন ১২ রান। শেষ দিকে মোহাম্মদ আলি এবং আবরার আহমেদকে আউট করে নিজের ক্যারিয়ারে ১০ম বার ফাইফারের লক্ষ্য পূরণ করেন মিরাজ। ৩টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং ১টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও নাহিদ রানা।

সংবাদটি শেয়ার করুন