টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিকঠাক প্রস্তুতি হয়নি হয়নি টাইগার শিবিরে, পারফরম্যান্স যাচ্ছে তাই। তার মধ্যে বাংলাদেশ শিবিরে ইনজুরির হানা। সবকিছু মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে অস্বস্তি সঙ্গী হয়েছে ড্রেসিংরুমে। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে আঙুলে আঘাত পেয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। সেই আঘাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। যদিও তাসকিন অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছেন। দুইদিন ধরে পুরো রান আপে বোলিংও করছেন।
প্রথম ম্যাচে শরিফুলকে মিস করলেও লঙ্কানদের বিপক্ষে তাসকিনের ফেরাটা অনেকটাই নিশ্চিত।
এদিকে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পাওয়া বাঁহাতে ছয়টি সেলাই লেগেছে শরিফুলের। এই ধরনের ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে অন্তত সাত থেকে দশ দিন সময় প্রয়োজন। এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেতো বটেই, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও শরিফুলের খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
শরিফুলের ইনজুরি নিয়ে দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম ডালাসে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ধরনের সেলাইয়ে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিরাময় হয়ে যায়। বাকিটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। চিকিৎসকেরাও কিছু পরামর্শ দিয়ে রেখেছেন। আরও তিন-চার দিন পর ওর ব্যাপারে বোঝা যাবে। প্রথম ম্যাচে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসারের তালিকায় শেষ কয়েক বছরে শরিফুল শীর্ষে রয়েছে। পাওয়ারপ্লেতে উইকেট তুলে নিতে বাংলাদেশ দলের মূল ভরসাই তিনি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তার অনুপস্থিতি চিন্তায় ফেলবে। তবে শরিফুলকে মিস করলেও তাসকিনের ফেরা অনেকটাই নিশ্চিত। আগের দিন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তাসকিন লম্বা রানআপে বোলিং করেছেন। তাসকিনের বোলিং সন্তুষ্ট হওয়ার মতোই।
তাসকিনের সম্ভাবনা খুব ভালো উল্লেখ করে বায়েজিদ বলেছেন, এ কারণেই সে বিশ্বকাপ দলে আছে। এ ধরনের চোট চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। চোটের পর শতভাগ ফিট বলা যায় না, তবে অনেক ভালো অবস্থায় থাকবে সে। আশা করি, ৭ জুনের (শ্রীলঙ্কা ম্যাচ) মধ্যেই শতভাগ ফিট হয়ে যাবে।