দু:স্বপ্নের মতো এক বিশ্বকাপ খেলেছে সাকিবের দল। শেষ চারের স্বপ্ন নিয়ে গেলেও বিশ্বকাপ শেষে একরাশ হতাশা নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। ২০০৭ থেকে টানা চার বিশ্বকাপে ৩টি করে ম্যাচ জিতেছিল তারা। আগের সব বিশ্বকাপ বিবেচনায় অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশ্রণে এবার ছিল দুর্দান্ত দল। তবে এবার রাউন্ড রবিন লিগে ৯ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ২টিতে।
বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে বিভিন্ন ইস্যুর প্রভাবে পরিস্থিতি হয়ে উঠেছিল পুরোপুরি অস্বস্তিকর। তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া, সাকিব আল হাসানের আলোচিত সাক্ষাৎকার যেন অস্থির করে তোলে দলের পুরো পরিবেশ। বিশ্বকাপে ভালো না করায় ছিল এর প্রভাবও। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল খারাপ করার কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে এরই মধ্যে টিম ম্যানেজমেন্টকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে বিসিবি।
বিসিবি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে সাকিবের সাক্ষাৎকারের ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখছে তারা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের আচরণবিধিও রয়েছে। কিন্তু সাকিব সেটি ভঙ্গ করেছেন কি না, সেটিও খতিয়ে দেখবে বিসিবি। নিয়মভঙ্গের কিছু পেলে ব্যবস্থা নিতে পারে বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি। এ প্রসঙ্গে আজ মিরপুরে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সাকিব সাক্ষাৎকার দিয়েছে আমি ব্যক্তিগতভাবে জানতাম না। আমি সংবাদমাধ্যমে প্রথম দেখেছি। যখন আমরা এটা দেখতে পেয়েছি, তখন ইতিমধ্যে দল বিশ্বকাপ খেলতে চলে গেছে। যখন বিশ্বকাপ বা একটা টুর্নামেন্ট চলে, তখন আমাদের ফোকাস থাকে শুধু ওই টুর্নামেন্টে। বাহ্যিক আলাপ আলোচনার সুযোগ থাকে না। এখন দল এসেছে, আমরা রিপোর্ট পাওয়ার পর এগুলো আলোচনা হবে।
দলের অধিনায়কের ওমন সাক্ষাৎকার বিশ্বকাপে দল খারাপ করার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব রেখেছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি আছে। আমাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর, এটা নিয়ে প্ল্যান অব অ্যাকশন যা-ই থাকবে, সেগুলো ঠিক করা হবে। যদি শৃঙ্খলা কমিটি মনে করে, এ ধরনের কিছু করা দরকার, সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের এমন আচরণে হতাশ তানভীর আহমেদ। সাকিব-তামিমরা যদি বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে এমনটা না করতেন, তাহলে হয়তো দল স্বস্তির জায়গায় থাকত।
তিনি বলেন, সাকিব-তামিম-মুশফিক-রিয়াদ তো নতুন ক্রিকেট খেলছে না। তারা তাদের কন্ট্রাক্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের তালিকায় তারা ওপরের দিকেই থাকবে। তারা যে কাজগুলো করেছে বা যে সাক্ষাৎকারগুলো দিয়েছে, যেটা নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, সেই জিনিসগুলো যদি বিশ্বকাপ শুরুর আগে না হতো, তাহলে আমরা আরও স্বস্তির জায়গাতে থাকতাম। ওই রকম যদি না হতো, তাহলে হয়তো ভালো হতো।