দিল্লিতে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা কমবেশ সবারই জানা। এ অবস্থার মধ্যেই বিশ্বকাপে আগামী পরশু মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। ভয়ংকর রকম এই বায়ুদূষণের কারণে গতকাল অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। আজ (০৪ নভেম্বর) অনুশীলন বাতিল করেছে শ্রীলঙ্কা দলও।
বাতাসের মান ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ (একিউআই) অনুযায়ী কোনো অঞ্চলের বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০০ বা তার বেশি হলেই সেই অঞ্চলের বাতাসকে জনসাধারণের জন্য ভীষণরকম ক্ষতিকর বলে ধরে নেওয়া হয়। আর দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা এখন ৪০০ ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) বায়ু দূষণের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল, কলেজ। দিল্লির এই বায়ুদূষণকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণে রেখেছে আইসিসি। নজরে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দলের অবস্থাও। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন ম্যাচ বন্ধ বা বাতিল করা হয় তেমনি দূষণের মাত্রা বেশি হলে ম্যাচ পরিত্যক্ত বা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে আইসিসি।
আইসিসির একজন মুখপাত্র ক্রিকইনফোকে বলেছেন, আইসিসি এবং আমাদের আয়োজক বিসিসিআই সকল দলের স্বাস্থ্য গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রার দিকে নজর রাখছে। আমরা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছি।
এদিকে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এই বায়ুদূষণে বাংলাদেশ দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের কাশি হচ্ছে বলে গতকাল জানিয়েছিলেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমাদের দলের কয়েকজনের কাশি হচ্ছে, তাই আমরা ঝুঁকি নিইনি। জানি না পরিস্থিতির উন্নতি হবে কিনা। আমরা ৬ তারিখের ম্যাচে সবাইকে সুস্থ দেখতে চাই।’ বাংলাদেশ দল অবশ্য আজ সন্ধ্যা থেকে অনুশীলন শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, দিল্লির পরিস্থিতির সঙ্গে ভালোই পরিচয় আছে শ্রীলঙ্কা দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের। ২০১৭ সালে এই দিল্লিতেই দূষিত বাতাসের কারণে ড্রেসিং রুমে গিয়ে বমি করেছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। পাঁচ ক্রিকেটারকে মাঠে খেলতে দেখা যায় মুখে মাস্ক পরে। ক্রিকেটারদের সুস্থতার কথা বিবেচনায় রেখে আজ অনুশীলন করেনি শ্রীলঙ্কা দল।