বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে হাারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। তবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে টাইগারদের ছন্দপতন হয়। পরবর্তী ম্যাচ দারুণ ছন্দে থাকা ভারতের বিপক্ষে। সে ম্যাচে আলোচনায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ফিটনেস শঙ্কা।নিউজিল্যান্ড ম্যাচে মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়া সাকিব চোট নিয়েই খেলতে চান। তবে তাকে নিয়ে বড় ঝুঁকি নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) পুনেতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
টিম ডিরেক্টর সুজন বলেন, সাকিব এই ম্যাচ খেলে বড় ইনজুরিতে পড়ুক, সেটা চাই না। তবে আরও একবার স্ক্যান করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ধীরে ধীরে হাঁটা ও মাঠে দৌড়ানোর মধ্যে পার্থক্য আছে। যেহেতু সে গত ম্যাচে রান নিতে গিয়েই ব্যথাটা পেয়েছে। কালকে হয়তো এটা দেখবে। চোট পাওয়ার পরও সে ব্যাটিং করেছে, ১০ ওভারের কোটার বোলিং করেছে। যদি সে নিজেকে কম্ফোর্টেবল মনে করে তাহলে খেলবে। সাকিব চাইছে খেলতে। আমরা চাই না ঝুঁকি নিতে। তিনি আরও বলেন, টুর্নামেন্টের ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে। আমরা চাই না একটা ম্যাচ খেলে সে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করুক। ডাক্তার-ফিজিওদের ওপর এটা নির্ভর করছে। কোচের মতামতের ব্যাপার না এটা। আমরা চাই না এটা খেলে সাকিবের ক্যারিয়ারের জন্য সমস্যা হোক বা লম্বা সময়ের জন্য বিপদে পড়ুক। সাকিব যদি চায় এবং ফিজিওদের যদি মত থাকে তাহলে সে খেলবে। এই ম্যাচ যদি তাকে ছাড়াই খেলতে হয় তাহলে আমরা খেলব।’
সুজন বলেন, সাকিব ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। ব্যথা নেই। যেহেতু এখনো মাঠে নামেনি তাই পুরো পরিস্থিতিটা বলা যাবে না। কালকে (আগামীকাল) ব্যাট করবে, এরপর হয়তো একটু দৌড়াবে। তখন বোঝা যাবে। আশা করছি এই ম্যাচের আগে তাকে (ফিট) পাব। তিনি আরও বলেন, আমাদের ধারণা সে খেলতে পারবে। কিন্তু চিকিৎসার কিছু বিষয় তো আছেই। যেহেতু চোট আছেই পায়ে, ঝুঁকির একটা ব্যাপার থাকেই। তবে এখন ব্যথা নেই। আজ সুইমিং ছিল, সেখানে কিছু কাজও ছিল। শরীরের উপরিভাগ নিয়ে জিম করবে। কালকে মাঠে ব্যাটিংয়ের পর আমরা হয়তো বুঝতে পারব। একটা স্ক্যানও করানো হবে। স্ক্যান করানোর পর আমরা হয়তো পরিষ্কার একটা ছবি পাব।
সাকিবের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে সুজন বলেন, যেহেতু মাংসপেশি ছিঁড়ে যাওয়ার ব্যাপার আছে, সুতরাং ব্যথা থাকতেই পারে।। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন হাঁটলেও ব্যথা হয়, সাকিবের ওরকম সমস্যা নেই। সে জন্যই আমরা একটু আশাবাদী। তবে মাঠে না গেলে বোঝা যাবে না। যদি এমনও বলি ৯০ শতাংশ কিংবা ৯৫ শতাংশ ফিট… শেষ ম্যাচে কিন্তু সে ব্যথা পাওয়ার পরও পুরো ১০ ওভার বোলিং করেছে’—যোগ করেন সুজন।