দেশের ফুটবলপাড়া মদ কাণ্ডে তোলপাড়। মালদ্বীপে খেলতে গিয়ে ৬৪ বোতল মদ নিয়ে এসেছিলেন বসুন্ধরা কিংসের ৫ ফুটবলার। যে অপরাধে এরই মধ্যে তাদের সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) তরফেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে অভিযুক্ত ওই পাঁচ ফুটবলারের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত পাঁচ ফুটবলার হচ্ছেন আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মণ, মোরসালিন, সবুজ ও রিমন। এর মধ্যে জিকো, তপু ও মোরসালিন জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ১২ অক্টোবর মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। এই ম্যাচে তারা ডাক পাবেন কি না এই প্রশ্নও উঠেছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) মতিঝিলের বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভা। সেখানে মূল আকর্ষণ ছিল তদন্ত রিপোর্ট। তবে সম্প্রতি দেশের তারকা ফুটবলাররা মদ আনার ঘটনাটি সবচেয়ে আলোচিত। তাই সভা শেষে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে এ নিয়ে কথা বলতে হয়েছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিন চার দিন আগে বসুন্ধরা কিংস আমাকে একটা চিঠি দিয়েছে। সেখানে তারা কয়েকজন খেলোয়াড়দের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছে এবং ডিসিপ্লিনারি বিষয়ে তদন্ত করছে জানিয়েছে।’
ক্লাব একটি শৃঙ্খলার বিষয়ে তদন্ত করছে। একটি ক্লাব যখন তদন্ত করে বা চিঠি দেয় তখন সেটিকে সম্মান দেখানো দরকার বলে মত প্রকাশ করেন এ সভাপতি। জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছেন। বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের এখনও ডাকেননি। অভিযুক্ত ফুটবলারররা কিংসের। তাই কোচ তাদের ডাকবেন কি না এই প্রশ্নও এসেছে। এর উত্তরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘শৃঙ্খলার বিষয়ে ক্লাব , ফেডারেশন, কোচ একসূত্রেই কাজ করা উচিত। আমার যতটুকু মনে হয় কোচ শৃঙ্খলার দিকেই থাকতে পারেন।’ আগামীকালের দিকেই জাতীয় দলে কিংসের ফুটবলারদের ডাকা হতে পারে। সেই দলে মোরসালিন-জিকো ও তপু না থাকলে বাংলাদেশ দলের জন্য মালদ্বীপ ম্যাচ উৎরানো কঠিনই হবে। কিন্তু তাদের কর্মকান্ডের জন্য শাস্তিও প্রয়োজন বলে মনে করেন ফুটবলসংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরে এএফসি কাপের ম্যাচ শেষে মালদ্বীপ থেকে ফেরার পথে ব্যাগে করে মদ এনেছিলেন অভিযুক্ত পাঁচ ফুটবলার। মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্ট অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছিল বসুন্ধরা কিংস। ১৯ সেপ্টেম্বর ম্যাচ খেলে পরদিন ঢাকায় ফিরেছিল দল। বিমানবন্দরে তাদের কাছে মদ পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।