শেষের পথে কাতার বিশ্বকাপ। ৩২ দলের ৬৪ ম্যাচের মধ্যে ৬০টি ম্যাচেরই নিষ্পত্তি ঘটে নেমে এসেছে শেষ চারে। আর শেষ ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে নতুন বলে। বিখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এডিডাস তা প্রকাশ করেছে ।
বিশ্বকাপের এ পর্যন্ত ম্যাচগুলো ‘আল রিহলা’ বলে খেলা হয়েছে। তবে, সেমিফাইনাল থেকে খেলা হবে ‘আল হিলম’ বলে। যার অর্থ ‘স্বপ্ন’। সেই বলে লাথি মেরেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাবে দুটি সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ও ফাইনালসহ চারটি ম্যাচ।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আল রিহলার মতোই মোড়ানো থাকবে আল হিলম। সেমি অটোমেটেড প্রযুক্তির কারণে অফ-সাইড সিদ্ধান্ত নিতে এবার বিতর্কের মুখে পড়তে হয়নি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিদের (ভিএআর)। বরং দ্রুতই মাঠে রেফারিকে নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছেন তারা।
‘কানেক্টেড বল টেকনোলোজির বিকাশের মাধ্যমে ভিডিও ম্যাচ অফিসিয়ালদের জন্য তথ্যের আরেকটি অতিরিক্ত গুরুত্বুপূর্ণ স্তর বানাতে সক্ষম হয়েছে এডিডাস। বল থেকে পাওয়া উপাত্ত এক নতুন অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিল বিশ্বকাপে মাঠের চারপাশে অনন্য মুহূর্তগুলোর গল্প বলার জন্য। ’ এমনই জানান ফিফার ফুটবল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের পরিচালক জোহানেস হোলজমুলার।
‘আল হিলম’ পরিচিতি: বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ইতিহাসে আল হিলম-ই প্রথম বল যা শুধুমাত্র তরল কালি ও আঠা দ্বারা তৈরি। বলে সেই আল রিহলার মতোই সুক্ষ্ম ত্রিভুজাকৃতির প্যাটার্ন রাখা হয়েছে। প্যাটার্নগুলো কাতারের পতাকার রংয়ে আবৃত। সঙ্গে বলে কিছুটা সোনালী আভা রয়েছে যা কি-না বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি ও দোহার চকচকে মরুভূমি থেকে অনুপ্রাণিত।
‘বিশ্বকে একত্রিত করার জন্য খেলাধুলা ও ফুটবলকে আলোর বাতিঘর হিসেবে উপস্থান করবে আল হিলম। বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকে লাখ লাখ লোক খেলাটির প্রতি আবেগের জন্য একত্রিত হবে। টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা সব দলকে শুভকামনা জানাই আমরা। কারণ তারা ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ’ এমনই মতামত ব্যক্ত করেন এডিডাস ফুটবলের জেনারেল ম্যানেজার।
আনন্দবাজার/কআ