তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে ৬ মাসের বিরতির বাকি আছে আর দেড় মাসের একটু বেশি। এরপর কী? ভাবনা তো একটা তামিমের আছে অবশ্যই। কিন্তু তার আক্ষেপ, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনার কথা অন্যরা অনেকে বলে যাচ্ছে, তবে তাকেই বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
তামিম বাংলাদেশের জার্সিতে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। করোনা বিরতির পর খেলা শুরু হলে টি-টোয়েন্টিতে আর দেখা যায়নি তাকে। শুরুতে কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন চোট নিয়ে। এরপর গত ২৭ জানুয়ারি বিপিএল চলার সময় চট্টগ্রামে তিনি জানিয়েছিলেন, আপাতত ৬ মাস দূরে থাকবেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে।
কিন্তু ওই ঘোষণারও পরও তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থামেনি। এভাবেই তিনি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারকে বিদায় জানাবেন কিনা, আদৌ আর জাতীয় দলে এই সংস্করণ খেলবেন কিনা এসব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনা তো আছেই। এছাড়াও নিয়মিত প্রশ্ন উঠছে নানা সংবাদ সম্মেলনেও। নানা সময়ে নানা মন্তব্য করে আসছেন বিসিবি কর্তারাও। কিছুদিন আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান স্বয়ং ইঙ্গিত দেন, এই সংস্করণে তামিমকে আবার পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
তবে তামিম বরাবরই ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষার কথা বলে আসছিলেন। ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে রবিবার তার কাছে আবার প্রশ্ন ছুটে যায় টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে। তিনি হাসতে হাসতে জানান, চারপাশের কথা শোনার পর নিজের আর কিছু বলার নেই তার।
তামিম বলেন, টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে পরিকল্পনা, সেটা তো আমাকে বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা (সংবাদমাধ্যম) বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়। তো এভাবেই চলতে থাকুক। আমাকে তো বলার সুযোগ দেওয়া হয় না।
তিনি আরও বলেন, এতদিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, আমি এটা ডিজার্ভ করি না যে আমি কী চিন্তা করি না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা…। হয় আপনারা কোনো ধারণা দিয়ে দেন, নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলেই দেয়, তখন আমার তো কিছু বলার নেই।
আনন্দবাজার/টি এস পি
