ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ইংল্যান্ডই পারে টেস্টের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে’

সাম্প্রতিক সময়ে যেন ‘গৌরব’ অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে টেস্ট ক্রিকেট। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, ধারা এখন অনেকটাই ‘নিম্নমুখী’ টেস্ট ক্রিকেটের। ইংল্যান্ড দলের নতুন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামও এই ‘নিম্নমুখী’ মতের সাথে একমত পোষন করেন। কিন্তু প্রথমবারের মত কোন জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পাওয়া ম্যাককালামের মতে ইংল্যান্ডই টেস্টে এই নিম্নমুখী ধারা পরিবর্তন করতে পারে।

গত বছর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড দলকে খাদের কিনারা থেকে সাফল্যের ধারায় আনার বিরাট চ্যালেঞ্জ ম্যাককালামের সামনে। গত বছর ১৫ টেস্টে মাত্র ৪টিতে জয় ছিলো তাদের। চলতি বছর ৫ টেস্ট খেলে জয়হীন তারা। ২টি হারের সাথে ৩টি ম্যাচে ড্র করেছে ইংলিশরা।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান দ্বিতীয় আসরে নয় দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ইংল্যান্ড। ১৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি জয়, ৭ হার এবং ৪ ড্রতে মাত্র ১৮ পয়েন্ট পেয়েছে ইংলিশরা।

দলের এমন দুর্দশায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো রুট। তার পরিবর্তে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস দলের অধিনায়ক হয়েছেন। পরিবর্তন ঘটেছে কোচিং প্যানেলও ব্যাপক। ক্রিস সিলভারউডের জায়গায় ম্যাককালাম নতুন কোচ হয়েছেন।

আগামী ২ জুন লর্ডসে নিজ দেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হওয়া সিরিজ দিয়ে ম্যাককালামের ইংল্যান্ড দলের কোচ হিসেবে অভিষেক হবে। টেস্ট সিরিজের আগে ম্যাককালাম মন্তব্য করেন, টেস্ট ক্রিকেটই চূড়ান্ত ফরম্যাট, তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটির ধারা নিম্নমুখী। লংগার ভার্সন যেন অনেকটাই নিজের গৌরব হারিয়ে ফেলেছে। একমাত্র ইংল্যান্ডই পারে এই নিম্নমুখী ধারাটা পরিবর্তন করতে।

ম্যাককালাম আরও বলেন, আমি সাদা বলের পাশাপাশি লাল বলের ক্রিকেটও খেলেছি। তবে আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেট সব কিছুর উপরে।

ম্যাককালাম বলেন, খেয়াল করলে দেখবেন বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটের ধারা নিম্নমুখী। আমার মতে, ইংল্যান্ড সেই নিম্নমুখী ধারা পরিবর্তন করতে পারবে। কারণ টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য ইংল্যান্ডের আছে এবং আমার ধারণা ভক্ত-সমর্থক এখানে আছে। আমাদের জন্য প্রতিযোগিতাই পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

বর্তমান অবস্থা থেকে ইংল্যান্ড দল ঘুরে দঁাড়াবে প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি জানান, সময় লাগবে। ছেলেদের যাদের অনেক প্রতিভা আছে, তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ও একে অপরের জন্য খেলতে, ইংল্যান্ডের ভাল প্রতিনিধিত্ব হতে চেষ্টা করছি। আশা করি, আমরা এই পথ ধরে ভাল কিছু অর্জন করতে পারবো। অবশ্যই সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে আমরা এক নম্বর হতে পারি, অ্যাশেজের জন্য চ্যালেঞ্জ করতে পারি এবং যখন বিশ্বের সেরা দলগুলির কথা বলা হবে, তখন সেখানে আমরা থাকতে পারি। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন