ঢাকা | শুক্রবার
১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ম্যাথুসের ১৯৯, শ্রীলংকা থামল ৩৯৭ রানে

বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম ব্যাটাসম্যান হিসেবে ১৯৯ রানে আউট হয়ে ইতিহাস গড়লেন লংকান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। সব মিলিয়ে বিশ্বের ১২তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রান আগে থামেন তিনি। এতেই ৩৯৭ রানে শেষ হয়েছে শ্রীলংকার ইনিংস। এদিকে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের নাইম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের শেষভাগে চান্দিমালের পর একই ওভারে নতুন ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকওয়েলাকে ফেরান নাঈম। এই অফ স্পিনারের কল্যাণে আগের দিনের প্রথম সেশনের মতো স্বস্তির দেখা পেলেও অপ্রতিরোধ্য ম্যাথিউস।

অবশ্য মুমিনুল হকের দল সুযোগ পেয়েছিল দিনের শুরুতে। ১১৪ রানে দিন শুরু করা ম্যাথিউসকে ১১৯ রানেই ফেরানো যেত। সেটি দিনের চতুর্থ ওভার ছিল। ম্যাথিউস খালেদ আহমেদের লেংথ বলে খোঁচা মারেন। কিন্তু বাংলাদেশ দলের কেউই বুঝতে পারেননি ম্যাথিউসের ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়ে কিপার লিটন দাসের হাতে। একটুর জন‍্য ব‍্যাটের কানা নেয়নি ভেবে হতাশা প্রকাশ করেন বোলার ও কিপার। এরপরে রিপ্লেতে দেখা গেছে ম‍্যাথিউসের ব‍্যাটের কানা ছুঁয়ে লিটনের গ্লাভসে গিয়েছিল বল।

৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলংকার হয়ে ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট করতে নামেন চান্দিমাল। প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ দলকে পেলে যেন আরও ঝলসে ওঠে তার ব্যাট। দেখেশুনে খেলে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি তুলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তৃতীয় ফিফটি চান্দিমালের। কিন্তু মনোযোগে চিড় ধরে তার। যখন মনে হচ্ছিল, উইকেট শূন্য থেকে এই সেশন পার করবে স্বাগতিকরা, তখন নাঈমের মাধ্যমে নিজের উইকেটটি উপহার দেন চান্দিমাল।

১১৪তম ওভারে অফ স্পিনার নাঈমকে রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন চান্দিমাম। বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু কাজে আসেনি। ২ চার এবং ৩ ছয়ে ১৪৮ বলে ৬৬ রান করেন চান্দিমাল। তার আউটে ভেঙে যায় ম্যাথিউসের সাথে ১৩৬ রানের জুটি। ওই ওভারেই ডিকওয়ালাকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান নাঈম। তার ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। ইনিংসে নাঈমের চতুর্থ শিকার এটি।

এই সেশনে এই দুটি উইকেটই হারিয়েছে শ্রীলংকা । কিন্তু অন্যপ্রান্তে দুই উইকেট হারালেও টলানো যাচ্ছে না ম্যাথিউসের ব্যাট। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটাকেই দেড়শর দিকে টিনে নিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩২৭ রান।

লাঞ্চ বিরতির পরও চাপ ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই দলকে দুটি উইকেট এনে দেন সাকিব আল হাসান। রমেশ মেন্ডিসের স্টাম্প এলোমেলো করার পরের বলেই লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে এলবিডব্লিউ করে ফেরালেন এই অলরাউন্ডার।

পরের ওভারে ২৯৩ বলে দেড়শ করেন ম্যাথিউস। ১৯৯ থেকে ডাবল সেঞ্চুরির জন্য বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন ম্যাথিউস। তবে নাইম হাসানের সেই ডেলিভারি তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে চলে যায় সাকিব আল হাসানের হাতে। এতে ১৯৯ রানে থামতে হয় ম্যাথিউজকে।

নয় ঘণ্টা ৩৮ মিনিটের ম্যারাথন ইনিংসে ৩৯৭ বল খেলে ১৯ চার এবং ১ ছয়ের মারে এ ইনিংস সাজিয়েছেন ম্যাথিউজ। তার ব্যাটে ভর করে অলআউট হওয়ার আগে ৩৯৭ রান করেছে লংকান দল।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন