একক যাত্রার কার্ডে নতুন ডিজাইন এনেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। নতুন নকশায় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সংসদ ভবন ও জাতীয় ফুল শাপলার ছবি বাদ পড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ চাপার বক্তব্যটি সামনে আনছেন কেউ কেউ।
তবে কী কারণে ডিজাইন বদলেছে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছে ডিএমটিসিএল।
সেখানে বলা হয়, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের আওতায় ৩ লাখ ১৩ হাজার একক যাত্রার এবং ৮ লাখ ২৫ হাজার ৫০০টি এমআরটি পাস সরবরাহ করা হয়। একক যাত্রার টিকিট এবং এমআরটি পাসের ডিজাইন একই রকম হওয়ায় যাত্রী সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এমআরটি পাসধারী যাত্রী এক্সিট গেটে কার্ড টাচ করে বের হয় এবং একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রীকে টিকিট এক্সিট গেটের স্লটে প্রবেশ করাতে হয়। উভয় কার্ডের ডিজাইন একই রকম হওয়ায় একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রী এমআরটি পাসধারী যাত্রীকে অনুসরণ করে একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রী টিকিটটি এক্সিট গেটের স্লটে প্রবেশ না করিয়ে টাচ করায় এক্সিট গেট অ্যালার্ম প্রদান করে এবং সাময়িক সময়ের জন্য অকার্যকর হয়ে যায়। ফলে এক্সিট গেটে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে ২ লাখেরও বেশি একক যাত্রার টিকিট হারিয়ে গেছে। একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রী টিকিটটি স্লটে জমা না দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিজাইন একই রকম হওয়ায় এক্সিট গেটে কর্তব্যরত ব্যক্তি একক যাত্রার টিকিটধারীকে বাধা দিতে বিভ্রান্ত হয় এবং এতে যাত্রী হয়রানিসহ জটিলতার সৃষ্টি হয়। একক যাত্রার টিকিট এবং এমআরটি পাসের মধ্যে পার্থক্য করার জন্যে ইতঃপূর্বে ৫০ হাজার একক যাত্রার টিকিটের রং পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু তাতেও সুফল পাওয়া যায়নি।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রাপ্ত এমআরটি একক যাত্রার টিকিটগুলো যাত্রীদের এবং ক্রাউড ম্যানেজমেন্টের সুবিধার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। আশা করি এমআরটি একক যাত্রার টিকিটের ডিজাইন সংক্রান্ত উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো বিভ্রান্তির অবসান হবে
আনন্দবাজর/ এমকে