বায়ুদূষণ রোধে জনগণ থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। কেননা দূষণের কাজ জনগণ থেকেই আরম্ভ হয়। তাই সচেতনতার ক্ষেত্রে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।
জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ২৭ এ বায়ুদূষণ বিষয়ে কী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে ড. কামরুজ্জমান দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, কপ২৭ সম্মেলনে পরিবেশ অর্থনীতি, লস এন্ড ড্যামেজসহ বিষয়ে কথা হয়েছে। বিশেষ করে কার্বন নিঃসরণ, জীবাশ্মজ্বালানির বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। জীবাশ্মজ্বালানির ক্ষতির পরিমাণ কমাতে বলা হয়েছে। কেননা এতে বায়ুদূষণ, তাপমাত্রায় ভূমিকা রাখে। বায়ুদূষণের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রায় যে ভূমিকা রাখে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই কপ২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ বিষয়টিই সবচেয়ে গুরু পেয়েছে। টেকনোলজি ট্রান্সফার, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এবং ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কীভাবে তেল এবং গ্যাস ইন্ডাস্ট্রি থেকে মানবসৃষ্ট মিথেন নিঃসরণ কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পরিবেশদূষণ রক্ষায় সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে দেয়া হয়। সেখানে জনগণের কাজ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যাপস চেয়ারম্যান বলেন, পরিবেশদূষণ তথা বায়ুদূষণের কাজ রাষ্ট্র থেকে শুরু করা হয় না। এটি মূলত জনগণই শুরু করে। যত্রতত্র ইটভাটা তৈরি, বাড়িঘর নির্মাণ, গাছপালা কাটাসহ বিভিন্ন ধরনের দূষণ কাজ শুরু করে। এ জন্য বায়ুদূষণ রোধে জনগণকেই আগে সচেতন হতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি না চালানো, পরিবেশকে দূষিত করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পরিবেশ বিষয়ে পড়ালেখা করানো হয় কিন্তু কোনো ধরনের পরিবর্তন নেই। তাহলে কি শিক্ষার্থীরা পড়ে শিক্ষা পাচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামরুজ্জামান বলেন, পরিবেশবিজ্ঞান পড়িয়েই যে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে বিষয়টা এমন নয়। প্রতি সেক্টরেই পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে হবে। অর্থনীতি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়লেও কাজ করার সময় পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় তা দেখতে হবে। পরিবেশ সবার। একে সংরক্ষণও সবাইকে করতে হবে। নির্দিষ্ট কোনো গোত্রের ওপর নির্ভর করলে হবে না।
আনন্দবাজার/শহক