ঢাকা | মঙ্গলবার
১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোকসান কমাতেই বেড়েছে দাম

লোকসান কমাতেই বেড়েছে দাম

শীত মৌসুমেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। উৎপাদন বেশি হলেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সবজির বাজারে বৃষ্টির অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়েছে। অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। তবে বেগুন দাম বেড়েছে লাফিয়ে। অবশ্য মৌসুমির সবজির দাম বাড়লেও আগের দামেই মিলছে মাছ, মাংস, মুরগি, ডিমসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য।

সবজির দামের বিষয়ে কাপ্তানবাজারের সবজি বিক্রেতা নাসির বলেন, বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। ফলে লোকসান কমাতে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে। তবে বেগুনের দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে। সামনে সবজির দাম কমবে কিনা এমন প্রশ্নে নাসির বলেন, শীত প্রায় শেষ। তাই শীতের সবজির দাম কমার সম্ভাবনা দেখছি না।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজারে ছোট ফুলকপির পিস বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। বড় ফুলকপি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও ছোট ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা, বড় ফুলকপি ৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে টমেটোর দামও বেড়েছে। ৩০ টাকা থেকে লাফিয়ে ৪০ টাকায় উঠেছে। গাজর ২৮-৩০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। করলা ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বাড়ার তালিকায় চমক দেখিয়েছে বেগুন। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। বেগুন প্রায় ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে এক সপ্তাহের আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এদিক সপ্তাহের ব্যবধানে শালগম (ওলকপি) এবং লাউয়ের দাম হেরফের হয়নি। বর্তমানে লাউয়ের আকার অনুসারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শালগমের (ওলকপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৫ টাকা।

যাত্রাবাড়িতে সবজি ক্রেতা আসিফ বলেন, এক সপ্তাহে আগে যে ফুলকপি পিস ৩০ টাকায় কিনে এনেছে। এখন সেই ফুলকপি ৪০ টাকা পিস কিনে এনেছি। একই সঙ্গে টমোটো, গাজর প্রতি কেজি প্রায় ১০ টাকা বেশি করে কিনতে হয়েছে। বেগুন দামে তো মনে হচ্ছে আগুন লেগেছে। কেজি প্রতি শত টাকা দাম শুনেই ভয়ে কিনতে সাহস পায়নি।

সপ্তাহের ব্যবধানে শাকের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব হলো- পুঁইশাকের মেচড়ি, লালশাক এবং পালংশাক। এর মধ্যে পুঁইশাকের মেচড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৮০ টাকা কেজি। লালশাকের আঁটি ১০ টাকা এবং পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। এক্ষেত্রে আকার অনুসারে দামের পাথর্ক্য রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ-মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। পরিবর্তন আসেনি গরু ও খাসির মাংসের দামও। পূর্বের নিধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে।

দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে পেঁয়াজ, আলু, ডিম। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দাম কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।

সংবাদটি শেয়ার করুন