ঢাকা | বুধবার
২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংকটে দুগ্ধপণ্যের বাজার

সংকটে দুগ্ধপণ্যের বাজার

দাম বেড়ে আট বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) নিলামে দুগ্ধপণ্যের। এ নিয়ে টানা তিন নিলামে দাম বেড়েছে। সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্যহীনতা দুগ্ধপণ্যের বাজার তীব্র অস্থিতিশীলতায় প্রধান ভূমিকা রাখছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধপণ্যের সরবরাহ নিম্নমুখী। কারণ উৎপাদন কমছে শীর্ষস্থানীয় রফতানিকারক দেশগুলোয়। তবে দুগ্ধপণ্যের চাহিদা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা মহামারীর প্রভাব কমার পর থেকেই। চাহিদা এবং সরবরাহের এমন ব্যবধানের কারণে দুগ্ধপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে।

জিডিটির সর্বশেষ নিলামে টনপ্রতি ৪ হাজার ৬৩০ ডলারে পৌঁছেছে দুগ্ধপণ্যের গড় দাম। এবং আগের নিলামের তুলনায় দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৪ সালের মার্চের পর এবারই প্রথম পণ্যটির দাম সর্বোচ্চে পৌঁছল।

ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ (ডব্লিউএমপি) নিলামে দুগ্ধপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। এর আগের নিলামের তুলনায় পণ্যটির দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। পাশাপাশি ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ (এসএমপি) এবং মাখনের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। যার মধ্য দিয়ে পণ্যগুলোর দাম পাঁচ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

বিশ্বজুড়ে দুগ্ধপণ্যের চাহিদা বাড়তে থাকায় মজুদ কমছে। সর্বশেষ নিলামে বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ডব্লিউএমপি এবং এসএমপি। চীন ছিল এসব পণ্যের শীর্ষ ক্রেতা। দুই বছর ধরে রেকর্ড পরিমাণ দুগ্ধপণ্য আমদানি করেছে চীন। এমন অস্বাভাবিক চাহিদার কারণেই হু হু করে দাম বাড়ছে।

বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করছেন, বছরের শেষ দিকে চাহিদা কিছুটা কমলেও বার্ষিক চাহিদার হার ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে। কিন্তু চলতি বছরও দুগ্ধপণ্যের সরবরাহ থাকবে কমতির দিকে। বর্তমানে প্রধান আমদানিকারক দেশগুলো দুগ্ধপণ্যের মজুদ বাড়ানোর প্রতি জোর দিচ্ছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, আপতকালীন ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবেলা করা। জাহাজীকরণ বিলম্বের কারণেও আগেভাগে দুগ্ধপণ্য সংগ্রহ করে রাখছে এসব দেশ।

জিডিটি মূল্যসূচকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ নিলামে সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ৯৬৩ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করা হয়। যার মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২৮ হাজার ৪৬৩ টন। নিলামে ১৬২ জন ব্যবসায়ী এবং প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। যার মধ্যে বিজয়ী হয়েছে ১১১ জন।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন