ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় কমছে আলু চাষের জমি

আলু উৎপাদনকারী শীর্ষ জেলাগুলোর মধ্যে বগুড়া খুবই পরিচিত। গেল কয়েক মৌসুম ধরে এই জেলায় আলু আবাদ ও উৎপাদন বাড়লেও এবার দেখা যেতে পারে ভিন্ন চিত্র।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে, এ বছর বগুড়ায় আলু আবাদের জন্য ৫৫ হাজার ৪৫৪ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ গত মৌসুমে ৬৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে, আর সে সময় ১৩ লাখ টন আলু পাওয়া গেছে ।

সূত্র জানায়, গত ২০১১-১২ মৌসুমে বগুড়ায় আলু উৎপাদন হয় প্রায় ১১ লাখ ৭ হাজার ২২৫ টন। এর পরের মৌসুমে জেলাটিতে ১১ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টন আলু পাওয়া যায়। এর পর থেকে দিন যতই গড়িয়েছে আলুর উৎপাদন ততোই বেড়েছে। তবে এ ধারা অব্যাহত ছিল গত মৌসুম পর্যন্ত।

চলতি মৌসুমে বগুড়ায় আলু আবাদ গত মৌসুমের তুলনায় কম হবে। তাই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৮ হাজার টন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ফলন ভালো হবে। আবাদ কমার কারণে কমে যাবে উৎপাদনও জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

সদর উপজেলার কালিবালা এলাকার আলু চাষী ইফতারুল ইসলাম জানান, এই মৌসুমে আলু গাছ বেশ সতেজ রয়েছে। কোল্ড ইনজুরিও হয়নি। বেড বাঁধাই করার পর থেকে গাছগুলো বেশ লম্বা হয়েছে। ছোট ছোট ডালপালা ছড়িয়েছে। গত বছর ভালো ফলন পেয়েছিলাম। আশা করি এবারো পাওয়া যাবে। তবে আলু বেচে আমরা  ভালো দাম পাই না।

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকার আপেল আহমদ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আগাম জাতের আলু বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে মূল মৌসুমের আলু এখনো উত্তোলন শুরু হয়নি। ডিসেম্বরের শেষের দিকে চাষিরা আলু উত্তোলন শুরু করবে। তবে আমাদের চিন্তা রয়েছে দাম নিয়ে।

জেলাকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেম আযাদ জানান, চলতি মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টির কারণে আমন ধান কাটতে দেরি হয়েছে। ফলে আলু আবাদে অনেক চাষী পিছিয়ে পড়েছেন। এখন কৃষকরা আমন ধান কেটে জমি তৈরি করে আবার আলু চাষ করছেন।

তবে যারা আগে আলু চাষ করেছেন তারা কিছু আলু তুলেছেন। এবার বীজের পাশাপাশি সারের কোনো সমস্যা হয়নি। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আশা করি ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

 

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন