ঢাকা | শুক্রবার
২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমতে পারে চিনির বৈশ্বিক ঘাটতি

কমতে পারে চিনির বৈশ্বিক ঘাটতি

চিনির বৈশ্বিক ঘাটতি ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে বড় ব্যবধানে কমার পূর্বাভাস মিলেছে। ব্রাজিল এবং থাইল্যান্ডে ইতিবাচক উৎপাদন পরিস্থিতি ঘাটতি কমাতে সহায়তা করছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান গ্রিন পুল।

অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির প্রক্ষেপণ অনুসারে, ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে চিনির বৈশ্বিক ঘাটতি দাঁড়াবে ৭ লাখ ৪২ হাজার টন। যা ২০২১-২২ মৌসুমে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২০ লাখ ৩০ হাজার টন। সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছেন, ঘাটতি কমলে বাজারে স্থিলিশীলতা ফিরবে।

প্রক্ষেপণ অনুসারে, ২০২২-২৩ মৌসুমে চিনির বৈশ্বিক উৎপাদন ২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার টন।

বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদক দেশ ব্রাজিল। ভোগ্যপণ্যটির বৈশ্বিক বাজারে উত্থান ও পতনের অনেকটাই নির্ভর করে দেশটির উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর। গত বছর ভয়াবহ খরা দেখা দিলে আখ উৎপাদনে ধস নামে। তাই চিনি উৎপাদন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। এছাড়া নতুন করে তুষারপাতের ধাক্কায় উৎপাদন প্রায় তলানিতে নামে। কিন্তু চলতি বছর থেকে ব্রাজিলে উৎপাদন পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে মোড় নেবে বলে মনে করছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্লাটস। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে উৎপাদন।

অন্যদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন বাড়াচ্ছে থাইল্যান্ডও। স্ট্যাটিস্টার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক চিনি উৎপাদনে ষষ্ঠ থাইল্যান্ড। ২০২১-২২ মৌসুমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভোগ্যপণ্যটির উৎপাদন ৩৯ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ৫ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে বলে জানিয়েছে স্টোনএক্স।

এছাড়া গত মৌসুমের মতো চলতি মৌসুমেও ভারতে আখ উৎপাদন ভালো হয়েছে। ২ শতাংশ উৎপাদন বেড়ে ৩ কোটি ১৫ লাখ টনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব দেশের উৎপাদন বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখবে এশিয়ার অনুকূল আবহাওয়া।

কিন্তু স্টোনএক্স বলছে, ভারতের চিনি উৎপাদন আরো বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। দেশটি আখ এবং বিট থেকে ইথানল তৈরি না করলে আরও ৩০ লাখ টন চিনি উৎপাদন সম্ভব হতো।

বাজার পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ববাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। ব্রাজিলে উৎপাদন বিপর্যয় এবং ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার দাম কমায় এতে জ্বালানি জুগিয়েছে। কিন্তু চিনির ঊর্ধ্বমুখী দাম কৃষকদের আখ উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করেছে। তবে জ্বালানি, রাসায়নিক এবং সারের বৈশ্বিক বাজারদরে উল্লম্ফন উৎপাদন ব্যয়ও বাড়িয়েছে। তাই প্রত্যাশার পাশাপাশি উদ্বেগও কাজ করছে কৃষক এবং মিল মালিকদের মধ্যে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন