- বর্ষণের অজুহাত
- নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি
- স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস
শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুম চলছে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে। বাজারে আমদানিও প্রচুর। তার পরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত শুক্রবার ও শনিবার ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় সবজির আমদানি কমে গেছে। বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া নতুন করে বেড়েছে চাল, ডাল, আঠা, ময়দা এবং ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এতে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসনের মনিটরিংয়ের অভাবেই এমনটি হচ্ছে। এতে খুচরা ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাজার মনিটরিংয়ে প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা।
গতকাল সোমবার রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ, মাংস, রসুন, কাঁচামরিচ, আলু, বেগুন, টমেটো, শসা, ধনেপাতা, লেবু ও আদার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির হার কেজিতে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। সিও বাজার, সিটি বাজার, ধাপ লালকুঠি বাজার, কামাল কাছনা বাজার ও বুড়িরহাট বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
শীতকালীন সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। দুদিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। ৪০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ৪০ টাকার কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, ১৪০ টাকার পটল ৪৬০ টাকা, ৮০ টাকার করলা ১০০ টাকা, ৪০ টাকার বরবটি ৫০ টাকা, ৩০ টাকার টমেটো ৪০ টাকা দওে বিক্রি হচ্ছে। জানতে চাইলে রংপুর সিটি বাজারের ব্যবসায়ী আশেক আলী বলেন, পাইকারী বাজারে দাম বেশি হওয়ায় সবজির দাম একটু বেশি। দুইদিন টানা বর্ষণের কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে।
সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সব ধরণের চালের দাম বেড়েছে। ৫০ টাকা কেজির নিচে মোটা চালও মিলছে না। চালের পাশাপাশি আটা-ময়দা, সয়াবিন, দেশি মশুরের ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরণের পণ্যের দাম সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইওে চলে গেছে।
মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। মাছের মধ্যে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, কাতলা ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, শোল মাছ প্রতি পিস ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, পুটি মাছ ২০০ টাকা, এবং টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সিটি বাজারের ব্যবসায়ী এমাদ হোসেন বলেন, সব জায়গায়ই দাম বেড়েছে। আমাদের কিছু করার নেই। তবে ক্রেতারা দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে বিক্রেতাদের বক্তব্য মানতে নারাজ। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে একে অপরের বিরুদ্ধে পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে। আর এর মাঝখানে পড়ে সাধারণ মানুষের পকেট খালি হচ্ছে।