পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ১ টাকা ১১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাবের পর এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এছাড়াও প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় ১৬ পয়সা বাড়িয়ে ১ টাকা ৩১ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
গতকাল (১ ডিসেম্বর) গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম নিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে বিপিডিবি ও নেসকো এসব প্রস্তাব তুলে ধরে।
এ সময় বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য রহমান মুর্শেদ, সদস্য মিজানুর রহমান ও সদস্য মাহমুদ উল হক ভুঁইয়া গণশুনানি গ্রহণ করেন। শুনানিতে বিপিডিবির পক্ষে সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদের বক্তব্যের পর দাম প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সংস্থার মহাব্যবস্থাপক কাউসার আমীর আলী।
বিপিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বিদ্যমান পাইকারি ও সঞ্চালন মূল্যহারের ভিত্তিতে বৈদ্যুতিক এনার্জি রেট প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭ পয়সা। বিদ্যুতের পরিবর্তিত পাইকারি ও সঞ্চালন মূল্যহারের ভিত্তিতে ২০২০ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ে এটি নির্ধারিত হবে।
গণশুনানিতে উপস্থিত ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, ‘বস্তিতে দরিদ্র মানুষ বেশি বিদ্যুৎ বিল দেয়। একটি মিটারের অধীনে অনেকগুলো ঘরে লাইন দেয়া হয়। এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব কিনা? সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো বছরের পর বছর বিল দেয় না। কিন্তু তাদের বিদ্যুতের লাইন কাটা হয় না।’
জবাবে পিডিবি জানিয়েছে, বস্তিতে আলাদা ভাবে লাইন দেয়া সম্ভব। ঢাকার বিহারি ক্যাম্প ও চট্টগ্রামের সুইপার কলোনিতে এভাবে বিদ্যুতের মিটার দেয়া হয়েছে। সেভাবে বস্তিতেও আলাদা প্রিপেইড মিটার দেয়া যেতেই পারে।
আনন্দবাজার/এম.কে