ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবজি কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা

সবজি কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা
  • কমেছে আলু-পেঁয়াজের দাম

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় আলু ও পেঁয়াজের দর কমলেও বেড়েছে সবরকম নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি সবজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার জনবসতি ও গুরুত্বপূর্ণ বাজার বিভিন্ন বাজারঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪০ টাকা, প্রতিপিছ ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাঁজর প্রতিকেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতিপিছ লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা। এসব বাজারে পুরান ও নতুন আলুর দাম কমেছে। নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। পুরান আলুর কেজি ১৩ থেকে ১৫ টাকা। ৫ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

অপরদিকে দাম কমেছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। ভারতের পাশাপাশি রয়েছে মিয়ানমারের পেঁয়াজও। বাজারে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা।

এসব বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। আগের তুলনায় দেশি ডাল ১১০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি মসুরের ডালের কেজি ১২০ টাকা।

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৯ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং প্যাকেট চিনিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। খোলা আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায় আর প্যাকেট আটা ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। কক বা পাকিস্তানি লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়, খাশির মাংস ৮৫০ টাকা কেজি। এছাড়া সরবরাহ কমেছে দেশি মাছের। ফলে দেশি মাছ অন্যসময়ের তুলনায় বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, নদীতে পানি বেশি থাকায় জালে মাছ উঠছেনা সেজন্য মাছের সরবরাহ কম। দেশি মাছে সরবরাহ কম থাকার কারণে বেড়েছে চাষের মাছে দামও।

ক্রেতারা জানান, সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং করতে পারলে হয়তো বা দ্রব্য মূল্যের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রনে থাকতো। সরকারিভাবে বাজারগুলোতে তদারকি না থাকার কারণে ব্যবসায়িরা ইচ্ছা মতো দর হাকাচ্ছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন