ঢাকা | শুক্রবার
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক বেড়েছে

চলতি বছরের জানুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম বেড়েছে। মূলত মূল্যসূচক বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা পালন করেছে উদ্ভিজ্জ তেলের ঊর্ধ্বমুখী দাম। এ তথ্য জানিয়েছে, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের (এফএও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন। গত মাসে এফএওর ফুড প্রাইস ইনডেক্সে খাদ্যপণ্যের গড় বৈশ্বিক মূল্যসূচক ছিল ১৩৫ দশমিক ৭ পয়েন্ট। যা গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ১ দশমিক ৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

জানুয়ারি মাসে চিনিজাত পণ্যের  বৈশ্বিক দাম কমলেও বেড়েছে উদ্ভিজ্জ তেল এবং দুগ্ধজাত পণ্যের দাম। এ সময় খাদ্যশস্য এবং মাংসের দাম আগের মাসের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। মূলত সূচকটি আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্য হওয়া খাদ্যপণ্যের মাসিক দাম পর্যবেক্ষণ করে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উদ্ভিজ্জ তেলের দাম আগের মাসের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। তবে ডিসেম্বরে উদ্ভিজ্জ তেলের দাম যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বনিম্নে পৌঁছেছিল। এ সময় বেড়েছে সব ধরনের তেলের দাম। বিশেষ করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি সীমিতকরণ প্রধান প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। এ সময় আমদানি বাড়ার কারণে সয়াবিন তেলের দাম, সরবরাহ জটিলতার কারণে র্যাপসিড তেল ও সরবরাহ জটিলতা এবং আমদানি চাহিদা বাড়ার কারণে সূর্যমূখী তেলের দাম বেড়ছে।

জানুয়ারিতে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে এফএওর ডেইরি প্রাইস ইনডেক্স। ফলে টানা পাঁচ মাসের মতো দুগ্ধপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ননিযুক্ত গুঁড়া দুধ এবং মাখনের মূল্যবৃদ্ধি দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে বড় প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। পশ্চিম ইউরোপ থেকে রফতানি সীমিতকরণ ও ওশেনিয়া অঞ্চলে প্রত্যাশার চেয়ে কম উৎপাদন দুগ্ধজাত পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহকে সীমিত করেছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট থাকায় প্রক্রিয়াজাত এবং পরিবহনে বিলম্বও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন